|
|
|
|
|
|
|
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে পড়াশোনা |
ভারতের মতো উষ্ণ এবং আর্দ্র প্রকৃতির দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের বিষয়টি আমাদের দেশে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ-মাংসের খাদ্য, যা সহজেই পচে যায়, সেগুলির গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে যে পদ্ধতিতে তাদের সংরক্ষণ করা হয়, তাকে বলে ফুড প্রসেসিং বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ।
পশ্চিমবঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, টেকনো ইন্ডিয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স পড়ানো হয়। যাদবপুরে ফুড টেকনলজির সঙ্গে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় বলে দেশে বিদেশে গবেষণা বা চাকরি, দুইয়েরই প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আই আই টি খড়্গপুরে (http://www.iitkgp.ernet.in/) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চার বছরের ডিগ্রি কোর্স আছে। এ ছাড়াও ফুড টেকনলজি পড়ার ক্ষেত্রে কানপুরের হারকোর্ট বার্টলার ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (http://www.hbti.ac.in/), মুম্বই ইউনিভার্সিটি (http://www.mu.ac.in/), নাগপুরের লক্ষ্মীনারায়ণ ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (http://www.nagpuruniversity.org/litnagpur/) বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়ে গবেষণা করতে চাইলে ইউ জি সি-র জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ, সি এস আই আর-এর ফেলোশিপ, কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজির ফেলোশিপ ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফেলোশিপ আছে।
lপশ্চিমবঙ্গে ফুড টেকনলজি পড়তে হলে রাজ্যস্তরের জয়েন্ট এন্ট্র্যান্স পরীক্ষায় বসতে হয়।
lডিগ্রি কোর্সের পাশাপাশি এই বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সও আছে।
lওষুধ তৈরি সংস্থা, ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস তৈরির কোম্পানি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের নানা শিল্পক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। |
|
বিজ্ঞান সহ একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি। ভবিষ্যতে ফার্মাসি পড়ার ইচ্ছা আছে। এর জন্য একাদশ শ্রেণিতে জীববিদ্যা থাকলে কি ভাল হয়? রাজ্যে ও বাইরে কোথায় এই বিষয় নিয়ে পড়া যাবে?
দীপ্ত সূর্য চৌধুরী, আসানসোল
পশ্চিমবঙ্গে বি ফার্মা কোর্সটি পড়তে হলে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিদ্যা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে হয়। সুতরাং, উচ্চ মাধ্যমিকে জীববিদ্যা না থাকলে ফার্মাসি পড়া সম্ভব হবে না। ফার্মাসিতে বি ফার্মা, এম ফার্মা এবং ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। কলকাতার জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ পলিটেকনিক, পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই পলিটেকনিক, কোচবিহার পলিটেকনিক, জলপাইগুড়ির ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি, শিলিগুড়ি গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ, বাঁকুড়ার ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি, কল্যাণীর ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা পড়ানো হয়। ‘বি ফার্মা’ পড়ানো হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনলজি বিভাগে, নদিয়ার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি প্রভৃতিতে।
বি ফার্মা করার পর ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি নিয়ে পড়তে হলে ‘ফার্মা গেট’ পরীক্ষা দিতে হয়। এ আই সি টি ই বরোদার এম এস ইউনিভার্সিটি’কে এই পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়; বি আই টি, মেসরা (http://www.bitmesra.ac.in/); আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় (http://annamalaiuniversity.ac.in/); দিল্লি কলেজ অব ফার্মাসি (http://www.dipsar.in/) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি পড়া যায়। |
|
|
ফোকাস
অভিজিৎ মজুমদার
শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
স্নাতক স্তরে ইংরেজি নিয়ে পড়ছি। ভবিষ্যতে লিঙ্গুইস্টিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়তে চাই। রাজ্য ও বাইরে কোথায় পড়ায়? কাজের সুযোগ কেমন? লিঙ্গুইস্টিক্স পড়ার ক্ষেত্রে অন্য কোনও বিদেশি ভাষা জানলে সুবিধে হয় কি?
চৈতি চট্টোপাধ্যায়, উত্তরপাড়া
পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিঙ্গুইস্টিক্স-এ এম এ পড়ানো হয়। এই কোর্সে ভর্তি হতে স্নাতক স্তরে লিঙ্গুইস্টিক্স অনার্স-এ অন্তত ৪০ শতাংশ নম্বর রাখতে হবে অথবা পালি, সংস্কৃত, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, সমাজবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতকস্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এম এ-র আসন সংখ্যা ৮৪। রাজ্যের বাইরে বিষয়টি পড়ানো হয় দিল্লি, জওহরলাল নেহরু, গুয়াহাটি, নর্থ ইস্টার্ন হিল, ওসমানিয়া, লখনউ, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফেলোশিপ-ও আছে। ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্সাস-এর কাজ, কমিউনিকেটিভ ইংলিশ, ট্রান্সলেশন স্টাডিজ, পরিভাষা তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণাধর্মী কাজ পাওয়া যায়। ভাষাতত্ত্ব যেহেতু ভাষার বিজ্ঞান, তাই শুধু বিদেশি নয়, দেশি অর্থাৎ অন্যান্য ভারতীয় ভাষা জানা থাকলে অবশ্যই পড়ার ক্ষেত্রে সুবিধে হয়। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|