|
|
|
|
প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি, তবু সংস্কার হয়নি রাস্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তা নিয়েই নিত্য নাজেহাল হতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। নানা সময়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে বহু দরবার হলেও রাস্তার অবস্থা বিন্দুমাত্র সারেনি। বরং তা আরও খারাপ হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে বর্ষার পরে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা থেকে চাকলা পঞ্চায়েত পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাটিকোমড়া মোড় থেকে চার কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মাঝে মাঝে পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তলার খোয়া বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত। বৃষ্টিতে তাতে জল জমে গাড়িচালক থেকে পথচারীদের কাছে আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় দু’টি বাজার, স্কুল, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। |
|
--নিজস্ব চিত্র। |
তা ছাড়া এই এলাকায় একটি মন্দিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে তাঁদেরও প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়তে হয়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। চৌরাসি এবং চাকলা, দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ওই রাস্তা। স্থানীয় রাজুকবেড়, মাটিকোমড়া চাঁদপুর, বাসুদেবপুর, সিরাজপুর-সহ দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার হাজার চল্লিশেক মানুষ নিত্যদিন এই পথে যাতায়াত করেন।
সিরাজপুর গ্রামের রহমত মোল্লা, কাবিল গাজি বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা তাতে এখনই মেরামতি দরকার। এই রাস্তা দিয়ে ফসল বাজারে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার কারণে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।” জীবনপুর গ্রামে রতন মণ্ডল, স্বপন কাহার বলেন, “এখানে একটি মন্দিরে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিও জনিয়ে রয়েছে। তাই অবিলম্বে রাস্তার সংস্কার হওয়া জরুরি।”রাস্তার সংস্কার নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য আলি আহমেদ বলেন, “এক বছর আগে পূর্ত দফতরের বারাসত ডিভিশনকে লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল। তারা দ্রুত রাস্তা সারানোা হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও কেন তা হল না জানা নেই।” |
|
|
|
|
|