|
|
|
|
জেলাপরিষদে বাজেট পাশ, শুরু বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
অবশেষে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের ২০১১-২০১২ অর্থবর্ষের বাজেট পাশ করা হল। অবশ্য ওই বাজেট বৈধ ভাবে পাশ করা হয়নি বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে শক্তির নয়া বিন্যাসের ফলে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদে বামফ্রন্ট সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত আইন অনুসারে সাংসদ, বিধায়ক, জেলাপরিষদের সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১০৮। অর্থাৎ ভোটার সংখ্যাও ১০৮। তার মধ্যে কংগ্রেসের ৫৫ জন, বামফ্রন্টের ৫২ জন। এক জনের অবস্থান নিয়ে বির্তক রয়েছে। পঞ্চায়েত আইন অনুসারে মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের বাজেট পাশের সভার কোরামের জন্য প্রয়োজন অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৫৫ সদস্যের উপস্থিতি। কিন্তু অঙ্কের হিসাবে বামফ্রন্টের রয়েছে ৫২ জন সদস্য। ওই কারণে গত ৩১ মে-র বাজেট পেশের সভা বয়কট করে কংগ্রেস। ফলে ফের ২৩ জুলাই বাজেট মিটিং ডাকা হয়। ওই দিনও কংগ্রেস সভা বয়কট করে। বামফ্রন্টের দাবি, শনিবারের সভায় ২০১১-২০১২ অর্থবর্ষের প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার বাজেট পাশ করা হয়েছে বৈধ ভাবে।
গত শনিবারের বাজেট পাশের সভার কোরামের জন্য ৫৫ জন সদস্য হাজির ছিলেন কি না জানাতে চাইলে সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস ও বামফ্রন্টের দলনেতা প্রণব বিশ্বাস দু’জনের কেউই ওই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তাঁরা দু’জনই পৃথক ভাবে বলেন, “কোরামের জন্য যত জন প্রয়োজন তত জন সদস্যই ওই সভায় হাজির ছিলেন।” কিন্তু কত জন? ফের ওই একই জবাব, “বললাম তো, যত জন প্রয়োজন তত জন!” মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের কংগ্রেসের দলনেতা বাণী ইস্রাইল বলেন, “কোরামের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যার থেকে বামফ্রন্টের ৩ জন সদস্য কম রয়েছে। ফলে কি করে বাজেটের সভা বৈধ হয়? আসলে কংগ্রেসের কোনও সদস্যের সই জালিয়াতি করে কোরাম হয়েছে বলে দেখাতে পারে ওঁরা। নইলে শনিবারের সভায় কত জন সদস্য হাজির ছিল তা কেন তাঁরা বলতে পারছেন না? পরে ওই বিষয়ে খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তা চলছে।” |
|
|
|
|
|