|
|
|
|
কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
কৃষ্ণনগরের বিপ্রদাস পালচৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের ছাত্র সংসদের অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারল না এসএফআই। শনিবার ছিল নির্বাচনের দিন। কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ বণিক বলেন, “কলেজের আগের ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা পদত্যাগ করায় আমরা কলেজের সংবিধান অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মাত্র ২১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। স্বাভাবিক ভাবে তাঁদেরই জয়ী হলে ঘোষণা করা হয়।”
মাত্র কয়েক মাস আগেই কিন্তু চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্য রকম। শুধু যে দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজে ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে ছিল তাই নয়, চলতি বছরের নির্বাচনে ৩৩টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল এঅসএফআই। সেই নির্বাচনে একটি আসনেও বামবিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পরেই পরিস্থিতির বিরাট পরিবর্তন ঘটে যায়। একে একে কলেজের ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদাধিকারী থেকে শুরু করে সাধারণ ছাত্র প্রতিনিধিরাও পদত্যাগ করতে শুরু করেন। ফলে অন্তবর্তীকালীন ভোট করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শেষ না হওয়ায় ১২টি আসনে নির্বাচন করা যায়নি।
কিন্তু কেন মাত্র কয়েক মাসে এমন পট পরিবর্তন? প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সৌম্যেন সাহা বলেন, “বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আমাদের হুমকি দিত। মারধরও করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হল যে, পদত্যাগ না করলে কলেজে ঢুকতেই পারব না। বাধ্য হয়েই তাই পদত্যাগ করেছি আমরা।” একই অভিযোগ এসএফআইয়ের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অসীম পালের। কিন্তু এ বারের নির্বাচনে কেন প্রার্থী দিলেন না? তাঁর দাবি, “বিধানসভা ভোটের পর থেকে যে ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা কলেজে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল, তাতে কাউকে প্রার্থী করার ঝুঁকি নিতে পারিনি। কারণ তা হলে তারা আর কলেজে ঢুকতে পারত না। তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত।”
যদিও এই সব অভিযোগই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু দত্ত বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এসএফআই সদস্যদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তাই তারা কোনও প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।” তাঁর কথায়, “এসএফআই এক সময়ে আমাদের ভয় দেখিয়ে ভোটে দাঁড়াতে দিত না। এখন কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে।”
কৃষ্ণগঞ্জ অনিল স্মৃতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনেও প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। ২৯ জুলাই নির্বাচনের দিন। শনিবার ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সিপিএমের কৃষ্ণনগর জোনাল কমিটির সদস্য গৌর বিশ্বাস বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল, তাই কোনও প্রার্থী দেওয়া যায়নি।” স্কুলটি বরাবরই বামবিরোধীদের দখলে। |
|
|
|
|
|