|
|
|
|
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে বাড়তি ৪০ কোটি টাকা পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা পেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। অর্থের জোগানের পরে বিদ্যুদয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে শনিবার বিদ্যুৎ দফতর এক বৈঠকও করল মেদিনীপুর সার্কিটহাউসে। যেখানে বিদ্যুৎ সচিব মলয় দে, জেলার সব জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রীমানস ভুঁইয়া ও সুকুমার হাঁসদাও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চলতি বছরের মধ্যেই জেলার প্রতিটি মৌজায় বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ করা হবে। বৈঠক শেষে মানসবাবু ও সুকুমারবাবু বলেন, “এটা আমাদের কাছে ভীষণ খুশির খবর যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধে এই জেলার বিদ্যুদয়নে বাড়তি ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। চলতি বছরের মধ্যেই বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতরও।”
বিদ্যুদয়নে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খুবই পিছিয়ে। জেলার প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছনো যায়নি। জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে ঘাটাল মহকুমার ৫টি ব্লক, মেদিনীপুর সদর মহকুমার ৩টি ব্লক ও খড়্গপুর মহকুমার ৫টি ব্লকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। কিন্তু জঙ্গলমহল-সহ বাকি ব্লকগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। খড়্গপুর মহকুমারই সবংয়ে ১৯৩টি মৌজার মধ্যে ৯৭টি মৌজায়, পিংলার ১৭০টি মৌজার মধ্যে ৮৯টি, ডেবরা ব্লকের ৪৫২টি মৌজার মধ্যে মাত্র ২১৬টি মৌজায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আর জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম ব্লকের ৩৫৯টি মৌজার মধ্যে মাত্র ১১৫টি মৌজায়, বিনপুর-১ ব্লকে ৩০৫টি মৌজার মধ্যে মাত্র ৫০টি মৌজায়, বিনপুর-২ ব্লকে ২২৬টি মৌজার মধ্যে মোটে ৩৮টি মৌজা, সাঁকরাইলে ১১৬টি মৌজার মধ্যে মাত্র ৪৭টি মৌজায় বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৌজার দু’একটি অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ গিয়েছে। সেই তথ্য তুলে ধরেই আগে দেখিয়ে দেওয়া হত, ওই মৌজায় বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, এমনকী বাড়িতেও বিদ্যু সংযোগের উপরে জোর দিয়েছে সরকার। আর তা করতে গিয়ে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মৌজাতেই বিদ্যুদয়ন অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। পাওয়ার গ্রিড, এল অ্যান্ড টি এবং মাইতাস--এই তিনটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। শনিবারের বৈঠকে তিন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। মানসবাবু বলেন, “এখন অর্থ আর কোনও সমস্যা নয়। তাই প্রতিটি সংস্থাকেই দ্রুত কাজ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরাও সব রকমের সহযোগিতা করব।” বর্ষার পরেই কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই বেসিন প্রকল্পের কাজও শুরু হয়ে যাবে বলে সেচমন্ত্রী মানসবাবু এ দিন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বর্ষার সময়ে কাজ শুরু করলে অর্থের অপচয় হবে। তাই বর্ষা পেরোলেই কাজ শুরু হবে।” অন্য দিকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের ব্যাপারেও রাজ্য সরকার অনেকটাই এগিয়েছে বলে সেচমন্ত্রীর দাবি। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে তা গঙ্গা ফ্লাড-কন্ট্রোল কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে। শীঘ্রই গঙ্গা ফ্লাডকন্ট্রোল কমিশনের আধিকারিকেরা পরিদর্শনে আসবেন।” |
|
|
|
|
|