|
|
|
|
নীলগাইদের অভয়ারণ্যে সরাতে কোর্টের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ফসল বাঁচাতে নীলগাইকে অভয়ারণ্যে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল পটনা হাইকোর্ট। নীলগাইয়ের হামলায় বিহারের রোহতাস, কৈমুর, ভোজপুর এবং বক্সার জেলায় প্রায়ই ফসল নষ্ট হয়। এই নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্থা হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করে। তাঁরা জানিয়েছিল, বিহারে নীলগাইয়ের হামলার কারণে প্রতি বছর প্রায় প্রচুর টাকার ফসল নষ্ট হয়।
ওই আবেদনের সূত্রেই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি প্রকাশ চন্দ্র বর্মা এবং আদিত্য কুমার ত্রিবেদীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে ওই অঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার নীলগাইকে অভয়ারণ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
গ্রাম গৌরব সংস্থান নামে আবেদনকারী ওই সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর ফসলের মরশুমে ভোজপুরের কোয়েওয়ার সেতু থেকে বক্সার-বালিয়া সেতু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় খাবারের খোঁজে নেমে আসে নীলগাইয়ের দল। চলে দৌরাত্ম্য। এর ফলে প্রতি বছরই ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়। টাকার অঙ্কে এই পরিমাণ তিনশো কোটিরও বেশি বলে ওই সংস্থার দাবি। তাঁদের বক্তব্য, নীলগাইদের নিজস্ব বিচরণভূমি না থাকায় খাদ্যের সন্ধানে তারা ঢুকে পড়ে চাষের খেতে। ফলে লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের।
আবেদনকারীর ওই যুক্তি শোনার পরেই নীলগাইদের নির্দিষ্ট অভয়ারণ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ১৯৭২ সালের বন্যপশু আইন অনুযায়ী নীলগাইও বন্যপশুর তালিকাভুক্ত। তাই নীলগাইকে অভয়ারণ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই উচিত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, স্রেফ জঙ্গলে নীলগাইদের নিয়ে গিয়ে কী লাভ? তাদের জন্য দরকার বিস্তীর্ণ তৃণভূমি।
উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনও নীলগাই-সমস্যার প্রতিকারের উপায় জানতে চেয়ে বিহার সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল।
সেই সময়ে প্রয়োজনে নীলগাই হত্যায় অনুমতি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিহার সরকার। কিন্তু বন্যপ্রাণী আইনের গেরোয় পড়ে, বিতর্কের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় বিহার সরকার। |
|
|
|
|
|