টুকরো খবর |
হুমগড়ের জঙ্গলে দুই দাঁতালের যুদ্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা• মেদিনীপুর |
দুই দাঁতালের লড়াই বাধল গোয়ালতোড় ব্লকের হুমগড়ের সাতবিঁদার জঙ্গলে। ঘন্টা খানেক চলল লড়াই। শেষমেশ দু’টি হাতিই গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেল। রবিবার রাত পর্যন্ত বহু তল্লাশিতেও তাদের খোঁজ পাননি বনকর্মীরা। তবে ঘটনাস্থলে রক্ত ও হাতির পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা। তাঁর কথায়, “এলাকায় মেডিক্যাল টিম রয়েছে। হাতির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খোঁজ পাওয়া গেলেই আহত হাতির চিকিৎসা করা হবে।” ক’দিন ধরেই হাতির একটি দল গোয়ালতোড় ও আশপাশের এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। কখনও নয়াবসত, কখনও বা হুমগড়ে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে দলছুট কয়েকটি হাতি গড়বেতায় ঢুকে পড়ে। গভীর রাতে গোয়ালতোড়ের দিকে যায় তারা। রবিবার সকালে সাতবিঁদার জঙ্গলে দুই দাঁতাল হাতির লড়াই বাধে। গ্রামবাসীরা হাতির হুঙ্কার শুনেছেন। তবে কেউই ভয়ে জঙ্গলের ধার মাড়াননি। খবর পেয়ে বনকর্মীরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন। শুরু হয়ে হাতির খোঁজ। তততক্ষণে অবশ্য লড়াই থেমে গিয়েছে। গর্জনও বন্ধ। সাতবিঁদার জঙ্গলে পৌঁছে হাতির পায়ের ছাপ দেখতে পান বনকর্মীরা। খানিক দূরে দেখা যায় রক্ত। এর পরই বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়ে যান, এখানে দুই দাঁতালের লড়াই হয়েছে। ডিএফও’র কথায়, “আগে আহত হাতির চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।” তবে তারও আগে জরুরি ওই দুই হাতির হদিস পাওয়া। আপাতত তাদের খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। |
‘ওঝার কেরামতি’, সর্পদষ্টের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর
|
দীর্ঘক্ষণ ধরে চলেছিল সর্পদষ্ট এক কিশোরকে নিয়ে ওঝার কেরামতি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে আত্মীয়স্বজন, গ্রামের মানুষ ভিড় করে দেখেছিলেন সে সব। গ্রামের যুবক সহিদুলের কথায়, “কত কিছু করল ওঝা। কিন্তু ছেলে আর উঠে বসেনি।” শেষে রমজান শেখ নামে ১১ বছরের ওই কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে পৌছনোর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় রমজানের। বালিয়াডাঙা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সীমান্ত লাগোয়া মুরুটিয়ার মাধপুর গ্রামের রমজান। দিন কয়েক আগে করিমপুর থানার গোপালেরপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। শনিবার সন্ধ্যায় পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলা করছিল সে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় তাকে সাপ ছোবল দেয়। এরপরেই বাড়ির লোক এবং পড়শিরা তাকে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক ওঝার কাছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ওঝার ‘চিকিৎসা’। তাতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর। সব শেষে হাসপাতালের কথা মাথায় আসে রমজানের বাড়ির লোকের। করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব ঘোষ বলেন, “সাপে কামড়ানোর প্রায় দু’ঘণ্টা পর ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার আগে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে না গিয়ে হাসপাতালে এলে নিশ্চিত ভাবে বেঁচে যেত।” গোপালেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা করিমপুর-১ পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য মিনহাজউদ্দিন মোল্লা বলেন, “গ্রাম থেকে কিছুটা দূরেই করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। আগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছেলেটি বেঁচে যেত। কুসংস্কারের জন্য ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ায় ছেলেটি মারা গেল। গ্রামবাসীকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করা হয়েছে।” |
গণ্ডারশাবকের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
সাত মাস বসয়ী এক গণ্ডার শাবকের দেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে জলদাপাড়ায় বনকর্মী মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাতে বনকর্মীরা ওই গণ্ডার শাবকের দেহ উদ্ধার করেন। রবিবার দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কোচবিহারের ডিএফও ওমপ্রকাশ দাবি করেন, “বর্ষাকাল গণ্ডারদের প্রজনেন সময়। শাবকের মায়ের প্রেমিকের খড়গের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শাবকটিকে মায়ের মার কাছ থেকে সরাতেই পুরুষ গণ্ডার শাবকটির উপর আক্রমণ করে বলে মনে হচ্ছে।” |
বৃক্ষরোপণ
নিজস্ব সংবাদদাতা• বাঁকুড়া |
বৃক্ষরোপণ হল বাঁকুড়ার পুলিশ লাইনে। শনিবার সকালে পুলিশ লাইনের মাঠের চারপাশে মেহগনি, ইউক্যালিপটাস, শাল, সেগুন প্রভৃতি গাছের চারা লাগানো হয়। গাছ লাগান বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রজা-সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদাধিকারিকরা। |
বিনামূল্যে চারা বিলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
বৈকুন্ঠপুর বন দফতরের পক্ষ থেকে রবিবার আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিনামূল্য চারা গাছ বিলি করা হয়। আমবাড়ি রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ও দিন স্থানীয় শক্তি সোপান সমাজসেবী ক্লাবের সদস্যদের হাত দিয়ে স্থানীয় প্রায় ৫০০ জন গ্রামবাসীর মধ্যে শিশু, জারুল, অর্জুন, বয়েরা ইত্যাদি বেশ কিছু গাছের চারা বিলি করা হয়।
|
জখম পেঁচা |
বুনো হাতির ধাক্কায় গাছ থেকে পড়ে জখম হল পেঁচা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পুর্ব দমনপুর রেঞ্জে ৮ নম্বর কম্পার্টমেন্টে। শনিবার রাতে দমনপুর রেঞ্জ সংলগ্ন ৮ নম্বর কম্পার্টমেন্টে রাত ৮টা নাগাদ একদল হাতির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। লোকালয় থাকায় বনকর্মীরা পটকা ফাটিয়ে বুনো হাতির পাল গভীর জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে দেন। ফেরার সময়ে বনকর্মীরা একটি বড় পেঁচাকে জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি উড়তে না-পারায় রবিবার সকালে রাজাভাতখাওয়া বন্যপ্রাণি কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়েছে। |
|