টুকরো খবর

আরামবাগে উদ্ধার দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র
আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও অস্ত্র মিলছে। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে গোঘাটের উত্তর সাঁইথা গ্রামের একটি রাস্তার ধার থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য দিকে, আরামবাগে পুরা বাজার এলাকার একটি কামারশালার পিছন থেকে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১৫টি পাইপের টুকরো উদ্ধার করে। তৃণমূলের দাবি, হাতকামান বানানোর জন্য সিপিএম ওই পাইপগুলি আনার বরাত দেয় কামারশালায়। পুলিশ ওই কামারশালার মালিক পরিবারের সদস্য রফিক খানকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি সিয়ারা গ্রামে। তাঁকে গ্রেফতারের আগে তৃণমূূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রফিক কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে তাঁর দাদা সফিক খান সক্রিয় সিপিএম কর্মী। রফিকের একটি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে কামারশালায় তৈরি অস্ত্র পাচার করা হত। সফিক অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সদস্য উত্তম সামন্ত বলেন, “তৃণমূল হাস্যকর অভিযোগ তুলছে। গ্রামের বহু বাড়িতে কলের লাইনের জন্য ওই রকম পাইপ লাগে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে শুক্রবার রাতে আরামবাগ শহরের বাসস্ট্যান্ডের পিছন থেকে গুলিভর্তি পাইপগান-সহ কৃষ্ণেন্দু সাহা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতের বাড়ি নওপাড়ায়। অন্য দিকে, বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে আরামবাগের নেতাজি স্কোয়ার এলাকার একটি দোকান-মালিক তথা তৃণমূল কর্মী বিজন মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের দুই কর্মীকে ফাঁসানো হয়েছে।

‘সন্ত্রাস’, প্রতিবাদে মিছিল দিশমের
তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ এর প্রতিবাদে হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকে রবিবার মিছিল করল ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি। এ দিন বিকেলে তারকেশ্বর, হরিপাল, ধনেখালি, পোলবা-দাদপুর-সহ নানা জায়গায় মিছিল হয়। দিশমের অভিযোগ, দিনের পর দিন তৃণমূল নেতাদের ‘অত্যাচার’ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে জোরজুলুম, তোলাবাজির মাত্রা। হরিপালে তৃণমূল জোর করে বর্গাদারদের উচ্ছেদ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে ‘সন্ত্রাস’ বন্ধের দাবি জানানো হয়।

স্কুল নির্বাচনে বামেদের হার
হুগলির কোন্নগরের আশালতা বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিবাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। রবিবার ওই স্কুলে নির্বাচন হয়। ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতেই বাম প্রার্থীদের হারিয়ে জয়ী হয় তৃণমূল। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই স্কুলে প্রায় সাড়ে ৩ দশক পরে এই প্রথম অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে হার হল বামেদের। তিন দশক পরে বাম-বিরোধীরা জিতল পাণ্ডুয়ার দু’টি স্কুলেও। সেখানকার বাঁটিকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ভিটাসিন বালিকা বিদ্যালয়ে জয়ী হল তৃণমূল। এখানেও রবিবার নির্বাচন হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই বামফ্রন্টকে ৬-০ ব্যবধানে হারান তৃণমূল প্রার্থীরা।
Previous Story South Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.