|
|
|
|
ট্রেনে ছিনতাই, পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যাণ্ডেল |
ট্রেনের মহিলা যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া বেশ কয়েকটি মোবাইল এবং সোনার গয়না সমেত এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে ব্যাণ্ডেল জিআরপি। ধৃতের নাম সুকুমার সাঁতরা ওরফে সেখ সুকুমার। সে উত্তর ২৪ পরগনার গরিফার ব্যানাকপাড়া রোডে স্ত্রী-কে নিয়ে ভাড়া থাকে। তার আরও এক স্ত্রী থাকেন হালিশহরে। তদন্তকারীদের দাবি, সুকুমারকে ধরে চলন্ত ট্রেনে অন্তত তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করা গিয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ছিনতাই করা গয়না নৈহাটির একটি দোকানে বিক্রি করে দিয়েছিল সে। ওই গয়নার দোকানের মালিক বিমল সরকারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন রাতের ট্রেনে মহিলা কামরায় ছুরি দেখিয়ে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গত ১৮ তারিখ রাতে আপ মালদা টাউন এক্সপ্রেস ব্যাণ্ডেল স্টেশন ছাড়ার মুখে সুকুমার মহিলা কামরায় ওঠে। বাঁশবেড়িয়া এবং ত্রিবেণী স্টেশনের মাঝে ছুরি দেখিয়ে ৩ জন মহিলার উপর চড়াও হয় সে। মহিলাদের কানের দুল, আংটি ছিনিয়ে নেয়। রাত এগারোটা নাগাদ ত্রিবেণী স্টেশনে ট্রেন থামলে দুষ্কৃতীটি নেমে যায়। ঘটনার জেরে ত্রিবেণীতে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। এর পরে ব্যাণ্ডেল জিআরপি-র ওসি সুমন জয়সোয়াল বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে স্টেশনের কিছুটা দূরে একটি ঝোঁপ থেকে বমাল ধরেন সুকুমারকে। চুঁচুড়া আদালত ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।জেরায় দুষ্কর্মের কথা স্বীকার করে ওই দুষ্কৃতী। রেল পুলিশ জানায়, চলতি মাসেরই ১৬ তারিখ রাতে ডাউন কাটোয়া লোকালে হুগলি এবং চুঁচুড়া স্টেশনের মাঝে ছুরি দেখিয়ে এক মহিলার মোবাইল ফোন, টাকা এবং অন্য এক মহিলার কানের দুল, পলা এবং ব্যাগে থাকা কয়েকশো টাকা ছিনিয়ে নেয় সে। ১২ তারিখ রাতে হাওড়া থেকে ছাড়া আপ ব্যাণ্ডেল লোকালের মহিলা কামরাতেও একই কায়দায় ছিনতাই করেছিল সে। এ ক্ষেত্রে ট্রেনটি হুগলি ছাড়ার পরে এক মহিলার মোবাইল ফোন, আংটি এবং অপর এক মহিলার কানের দুল ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। ট্রেনটি ব্যাণ্ডেলে ঢোকার আগেই ঝাঁপ দিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। রাতের ট্রেনে একই সময়ে পর পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় চিন্তায় পড়েন রেল পুলিশের কর্তারা। তবে দু’-তিনটি স্টেশনের ব্যবধানে ঘটনাগুলি ঘটায় তাঁরা বুঝতে পারেন, এর সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনও দুষ্কৃতী বা দলের যোগ রয়েছে। সেই কারণে ওই সমস্ত স্টেশনে নজরদারি জোরদার করে ব্যাণ্ডেল জিআরপি। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃত দুষ্কৃতীর কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন এবং মালদা-টাউন এক্সপ্রেস থেকে ছিনতাই হওয়া গয়নার পুরোটাই উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে, এর আগের দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রে ছিনতাই করা গয়না দোকানটিতে আগেই গলিয়ে ফেলা হয়েছে।
|
|
|
|
|
|