|
|
|
|
জাল রেশন কার্ড, শংসাপত্র চক্রের এক পাণ্ডা গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
বিভিন্ন জেলার পঞ্চায়েতের প্রধান, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরদের নামে ছাপানো জাল শংসাপত্র-সহ অসাধু চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম দুলাল দাস। তিনি হিন্দমোটরের উদয়নপল্লির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই টাকার বিনিময়ে তিনি জাল শংসাপত্র সরবরাহ করতেন বলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে জাল সিলমোহর লাগানো প্রচুর নকল শংসাপত্র ছাড়াও স্ট্যাম্প, কম দামের রেলের মাসিক টিকিটের কাগজ, নকল রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
|
|
--নিজস্ব চিত্র। |
শনিবার রাতে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার আইসি অসিত সাউ দুলালকে গ্রেফতার করেন। তাঁর বাড়ি থেকে হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকার পঞ্চায়েত এবং পুরসভার সদস্যদের নামে ছাপানো প্যাড পাওয়া যায়। বহু প্যাডেই সিলমোহর এবং স্ট্যাম্প লাগানো ছিল। হুগলির উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, কোন্নগর এলাকার কিছু কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্রও তার মধ্যে ছিল। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অনেককে রেশনকার্ড বা ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন ওই ব্যক্তি এবং তার দলবল। বেআইনি কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন রকম শংসাপত্র বিক্রি করাই ছিল তাঁদের কাজ। এর ফলে সরকারি নথি জাল করে বিভিন্ন অসাধু কাজকর্ম চলত। এতে মোটা টাকা উপার্জন হত তাঁদের। ‘সহজে’ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার টোপ দিয়েও অনেককে শংসাপত্র বা বিভিন্ন রকম কার্ড বিক্রি করা হত। যাঁদের নামের জাল শংসাপত্র উদ্ধার হয়েছে, এমন কয়েক জন কাউন্সিলরের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলে ওই কাউন্সিলররা পুলিশকে জানান।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চক্রের হদিস পেয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ধৃতকে জেরা করে কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।” ওই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মীদের যোগসাজস রয়েছে কী না, তদন্তকারীরা সে বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছেন। রবিবার ধৃত দুলাল দাসকে শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|