|
|
|
|
দু’বছর ধরে বন্ধ দু’টি রুটের বাস, দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁকরাইল |
একব্বরপুর-হাওড়া ভায়া সাঁকরাইল রুটের বেসরকারি বাস বন্ধ প্রায় দু’বছর। একই সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বাগানগোড়া-হাওড়া ভায়া সাঁকরাইল রুটের মিনিবাসও। ফলে, প্রতিদিন জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা এবং সাঁকরাইল এই তিনটি ব্লকের হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এক সময়ে জগৎবল্লভপুরের একব্বরপুর থেকে সাঁকরাইল হয়ে হাওড়া পর্যন্ত সরকারি বাস চালু ছিল। কিন্তু কয়েক বছর চলার পরে তা-ও বন্ধ হয়ে যায়। একব্বপরপুর-হাওড়া পর্যন্ত রুটের বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বাস চলত তা সাঁকরাইল স্টেশন হয়ে যেত। বন্ধ হয়ে যাওয়া মিনিবাসও যেত ওই পথেই। ফলে, সাঁকরাইল স্টেশন হয়ে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁরা ট্রেন থেকে নেমে এই দু’টি রুটের যে কোনও একটি বাস পেয়ে যেতেন। |
|
বাস বন্ধ থাকায় এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। --নিজস্ব চিত্র। |
বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং ব্যবসায়ীরাই মূলত এ ভাবে যাতায়াত করতেন। বাস বন্ধ থাকার জন্য তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে ট্রেনে চেপে সাঁকরাইল স্টেশনে এসে তাঁরা মোটরভ্যানে করে ধুলাগড়ি পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে ফের তাঁদের ট্রেকার বা অটোরিকশা ধরতে হয় গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর জন্য। কিন্তু ট্রেকার বা অটোরিকশায় ভিড় হয়। ফলে, অনেককেই ঝুলে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে জুজারসাহা থেকে হাওড়া রুটে একটি মিনিবাস চলে। কিন্তু সেই বাসটি ধুলাগড়ি মোড় থেকে মুম্বই রোড ধরে আন্দুল রোড হয়ে হাওড়ায় চলে যায়। ফলে এতে সাঁকরাইল হয়ে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁদের কোনও উপকার হয় না।
নিত্যযাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাস রুট দু’টি ফের চালু করতে হবে। পাঁচলার প্রাক্তন বিধায়ক গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা সন্তোষ দাস বলেন, “আমি বন্ধ হয়ে যাওয়া দু’টি বাস রুট ফের চালু করার জন্য জেলা পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়েছি। দু’টি রুটের বাস ফের চালু হলে বহু মানুষ দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাবেন।” একই ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি বাসটিও যাতে ফের চালানো হয়, সে জন্য পরিবহণ দফতরকেও জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।জেলা পরিবহণ কমিটির সদ্য নিযুক্ত সহ-সভাপতি তথা হাওড়া জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “জেলায় বহু রুটে বাস বন্ধ। কোন কোন রুটে বাস বন্ধ রয়েছে তা আমি আাধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছি। ওই সব রুটের বাস-মালিকদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
|
|
|
|
|
|