|
|
|
|
বিদর্ভ |
মানুষ টানছে লাঙল, এখনও চলছে আত্মহত্যা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
জমিতে চাষ চলছে। তবে বলদের বদলে লাঙল টানছেন মানুষ! কারণ, ট্রাক্টর বা বলদ কেনা তো দূর-অস্ত। লাঙল টানার জন্য বলদ ভাড়া করার সামর্থ্যটুকুও নেই তাঁর। আর তাই নিজের ছেলেদের দিয়েই চাষের জমিতে লাঙল টানাতে বাধ্য হচ্ছেন এক নিরুপায় কৃষক। ক্রিকেট আর বলিউডের স্বপ্ননগরীর অদূরের বিদর্ভ জেলার এ এক ভিন্ন বাস্তবতা।
অভাবের তাড়নায় একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যা বারবারই খবরের শিরোনামে এনেছে এই বিদর্ভকে। তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মীদের চাপানউতোরও অব্যাহত। কিন্তু বিদর্ভ রয়ে গিয়েছে সেই অন্ধকারেই!
অমরাবতী জেলার সিরখেদ গ্রামের কিষণ রাও দাপুরকর বলছিলেন, “আমাদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে দু’টো বলদ ভাড়া করতেও পারি না।” আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিও যে বিমুখ। দেখা মেলে না বৃষ্টির। তাই চাষবাসের যা অবস্থা তাতে এক জোড়া বলদের এক দিনের ভাড়া ১ হাজার টাকা জোগাড় করা তাঁদের কাছে নেহাতই অসম্ভব। তাই নিরুপায় হয়ে ছেলেদের দিয়ে লাঙল টানাতে বাধ্য হন কিষণ। কিষণের সেই এক ছেলে বলছিলেন, “এক জোড়া বলদের দাম ২০ হাজার টাকা। লোক দিয়ে চাষ করালেও দিনে জন প্রতি ২৫০ টাকার বেশি লাগে। তাই কষ্ট হলেও আমাদেরই লাঙল টানতে হয়। চাষ করাই যেন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।”
স্থানীয় মহকুমা শাসক দিনকর কালে জানান, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের চাষের জন্য বলদ দেওয়ার প্রকল্প থাকলেও দাপুরকরেরা ওবিসি। বিপিএল কার্ডও তাঁদের নেই। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পান্ডুরাং ফুন্দকর শাসক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদর্ভের চাষিদের জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করেছেন। ওই অঞ্চলের আর এক চাষি রমেশ অতকরের ২৪ বছরের ছেলে পবন জুনের প্রথম বৃষ্টিতে চার একর জমিতে সয়া চাষ করেন। কিন্তু পরের এক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ৭ জুলাই আত্মহত্যা করেন পবন।
বিদর্ভের মানুষের কাছে যাবতীয় সমস্যা সমাধানের এই পথটা যেন সব সময় খোলা! |
|
|
|
|
|