|
|
|
|
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নারী পাচার নিয়ে কর্মশালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পাঁচটি দেশের সঙ্গে উন্মুক্ত সীমান্ত থাকায় উত্তর-পূর্বে নারী পাচারের রমরমা। কিন্তু নারী পাচার রোধে সামাজিক সচেতনতা বা সরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রে বহু পিছিয়ে অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এমনটাই মনে করছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশন। নারী পাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ক’দিন আগে সারাদিনব্যাপী কর্মশালা চলল গুয়াহাটিতে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যপালের স্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনের প্রথম চেয়ারপার্সন জয়ন্তী পট্টনায়ক। জয়ন্তী দেবী বলেন, নারী পাচার এই অঞ্চলের জ্বলন্ত সমস্যা। দারিদ্র, কাজের অভাব, শিক্ষার অভাব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো নানা কারণ উত্তর-পূর্ব নারী পাচারের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠছে। পাচার বন্ধ করা শুধু নয়, এ সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। জয়ন্তী দেবী বলেন, “নারী পাচার নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। তবে, স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝে এই পাচার রুখতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যর নিজস্ব পদ্ধতি নেওয়া উচিত। সচেতনতা প্রসার, পরামর্শপ্রদানের ক্ষেত্রে জেলা, ব্লক ও গ্রামের মধ্যে অত্যন্ত ভাল বোঝাপড়াও প্রয়োজন। তবে, এইসব ক্ষেত্রেই অসম অনেক পিছিয়ে রয়েছে।”
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মৃদুলা শহরিয়া বলেন, “চিন, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপালের মতো এতগুলি রাষ্ট্রের সঙ্গে খোলা সীমান্ত থাকায় উত্তর-পূর্ব থেকে নারী পাচারের কাজ সহজতর হয়। উত্তর-পূর্বের মেয়েদের সামাজিক অবস্থান, অন্য অনেক রাজ্যের থেকে ভাল হলেও, মেয়েদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধ কমছে না।” অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরামের রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনরাও কর্মশালায় হাজির ছিলেন। |
|
|
|
|
|