|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রীকেও লোকপালের আওতায় চাইছে ডিএমকে |
সংবাদসংস্থা • কোয়ম্বত্তূর |
আপাতত কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়ছে না ডিএমকে। কিন্তু তাদের উপরে চাপ বজায় রাখার পথ থেকেও সরছে না করুণানিধির দল।
ডিএমকে-র দু’দিন ব্যাপী সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কালাইনার টিভি ঘুষ মামলায় কানিমোঝি জামিন না পাওয়া পর্যন্ত ক্যাবিনেটে নতুন কাউকে পাঠানোর কথা আপাতত ভাবছে না ডিএমকে। একই সঙ্গে লোকপালের আওতায় প্রধানমন্ত্রীকে রাখার ব্যাপারেই মত দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রদবদলের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন কাউকে পাঠায়নি ডিএমকে। প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন করুণানিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখনই অশীতিপর নেতা তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে কানিমোঝি কোনও দোষ করেননি। তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হলে, তাঁকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে চান করুণানিধি। তখনই ডিএমকে প্রধানের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ সেটাই আরও এক বার স্পষ্ট করলেন তিনি।
লোকপাল নিয়ে ডিএমকে আগেও জানিয়েছিল, তারা চায় এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীকে আনা হোক। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন কংগ্রেসের সঙ্গে ডিএমকে-র সম্পর্ক যথেষ্ট নড়বড়ে, তখন দলে সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কাল ডিএমকে নেতৃত্বের একাংশ এমনও দাবি তোলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক এখনই ছিন্ন করা হোক। কিন্তু করুণানিধি সেটা চাননি। এখন তারা কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেই কংগ্রেসের উপরে চাপ তৈরির পথ নিচ্ছে।
এবং এমন একটা সময় প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় চাইল তারা যখন এই নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে। যখন করুণানিধির সব থেকে বড় বিরোধী জয়ললিতা এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। যখন, ১ অগস্ট থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনেই লোকপাল বিলটি আনতে চাইছে কংগ্রেস এবং সর্বসম্মতি নিয়ে পাশ করাতেও চাইছে। এই অবস্থায় শুধু প্রধানমন্ত্রীকে আনার প্রস্তাবই করেননি ডিএমকে নেতৃত্ব, পাশপাশি উদাহরণ দিয়েছেন, ১৯৭৩ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতি দমনের জন্য এমনই একটি বিল এনেছিলেন করুণানিধি। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকেও এর আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে, দলের নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করুণানিধিই যে প্রধান থাকবেন এ বিষয়ে সকলে একমত হয়েছেন। এর ফলে, নয়া নেতৃত্ব নিয়ে আলাগিরি ও স্ট্যালিন গোষ্ঠীর মধ্যে যে মন কষাকষির সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন তোলা থাকছে। |
|
|
|
|
|