|
|
|
|
জঙ্গিদের কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে চাপ দিল্লির |
সংবাদসংস্থা • থিম্পু |
চলতি সপ্তাহেই ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। আর তার ঠিক আগেই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে কথা হল পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকের। সার্ক সম্মেলনে এসেছেন দু’জনেই। তারই ফাঁকে সেরে নিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। ২৬/১১-র মুম্বই হামলায় সাত অভিযুক্তের কন্ঠস্বরের নমুনা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানকে চাপ দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। অভিযুক্তদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিও জানানো হয়েছে।
দু-দেশের বিদেশ মন্ত্রকের আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলিই উঠে এসেছে চিদম্বরম-মালিক বৈঠকে। এ দিন ভারত-পাক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আগের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর করতে পাকিস্তানের কাছে আবেদন জানান ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।” কোন কোন বিষয়ে ভারত আবেদন জানিয়েছে তা বিবৃতিতে বলা হয়নি। তবে ভারত আগের বৈঠকে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত লস্কর নেতা জাকিউর রহমান লকভি-সহ সাত জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাঠানোর কথা বলেছিল। সেই বিষয়টিই চিদম্বরম পাকিস্তানকে ফের মনে করিয়ে দেন বলে ধারণা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। দু-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরাই পারস্পরিক সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। চিদম্বরমকে ‘বড়দা’ বলে সম্বোধন করেন মালিক। ২৬/১১-র তদন্তে ভারতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছে পাকিস্তান। কাসভের জবানবন্দি যিনি রেকর্ড করেন, সেই ম্যাজিস্ট্রেট আর ভি সবন্ত ওয়াঘলের সঙ্গেও কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে পাকিস্তান। ভারতের একটি তদন্তকারী দলও পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মুম্বই হামলায় অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বরের নমুনা চেয়ে ভারতের আবেদন নিয়ে আইনি অসুবিধার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। মালিক জানান, পাকিস্তান দেশের সংবিধানকে এড়িয়ে কিছু করতে পারবে না। অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বরের নমুনা অন্য দেশে পাঠানোর অনুমতি পাক সংবিধানে নেই। তবে যদি কোনও ভাবে সম্ভব হয় তবে ভারতের আবেদন অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। |
|
|
|
|
|