টুকরো খবর |
|
টাকার বিনিময় ভোট মামলায় অমরের পাশে দাঁড়ালেন মুলায়ম
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বিপদের দিনে বিবাদ ভুলে পুরনো বন্ধুর পাশেই দাঁড়ালেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব। টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা মামলায় পর্যুদস্ত অমর সিংহের সমর্থনে সরব হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অমর সিংহকে জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনাকে ‘অন্যায়’ বলে বর্ণনা করেছেন মুলায়ম। এই সমস্যার জাল কেটে বেরিয়ে আসার জন্য অমরকে সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তবে সমাজবাদী পার্টিতে অমরকে ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মুলায়ম। তিনি বলেন, “আস্থা ভোটের সময়ে অমর সিংহ কংগ্রেসকে সাহায্য করেছিলেন। এখন তাঁকেই বিপদে ফেলা হচ্ছে। তা ছাড়া সমাজবাদী পার্টি তখন বাইরে থেকে সমর্থন জানিয়েছিল। তখন টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে আমি ঠিকই জানতাম।” অমর সিংহের পর আগামী কাল সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রেবতী রমন সিংহকেও জেরা করবে দিল্লি পুলিশ। সে ব্যাপারেও তীব্র আপত্তি জানান মুলায়ম। তবে কংগ্রেসের রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলকেও জেরা করা উচিত কি না জানতে চাইলে সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুলায়ম।
|
পুলিশের চর সন্দেহে জঙ্গিদের হাতে হত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
পুলিশের ‘চর’ সন্দেহে দুই যুবককে গণ-আদালত বসিয়ে হত্যা করল মাওবাদীরা। লাতেহারের গারু থানা এলাকায় সরজু জঙ্গলের ঘটনা। আরও তিনজন গ্রামবাসীকে প্রচণ্ড মারধর করে তিন বছরের জন্য তাঁদের গ্রাম ছাড়তে নিষেধ করেছে জঙ্গিরা। ২১ ও ২৩ জুলাই, এই গণ-আদালত বসেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাওবাদীদের উত্তর কোয়েল-শঙ্খ জোনের মুখপাত্র, দীনবন্ধুজী নিজে ‘বিচার’-এর সময়ে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, মৃত দুই যুবকের নাম অনিল ওরাঁও (২৪) ও অরুণ যাদব (৩৫)। অশোক ওরাঁও (২০), রাজেন্দ্র ওরাঁও ও ভোলা ওরাঁওকে গ্রাম থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। পাপ্পু ওরাঁও নামে এক যুবক পালিয়ে বাঁচেন। কয়েকদিন আগে লাতেহারে মাওবাদীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ-শিবির ও অস্ত্র-কারখানা ধ্বংসের পুলিশি-অভিযানের বদলা নিতেই ওই গণ-আদালত। যাঁদের বিচার হয়েছে, তাঁরাও আগে মাওবাদী ছিলেন। দল ছেড়ে বেরিয়ে পুলিশকে সাহায্যের জন্য তাঁদের এই ‘সাজা’ বলে অভিযোগ।
|
মাওবাদীদের হাতে ফের আদিবাসী খুন
সংবাদসংস্থা • কোরাপুট |
পুলিশের চর সন্দেহে ফের মাওবাদীরা খুন করল এক আদিবাসীকে। কোরাপুটের উপারা রেঙ্গা গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সুকা নচিকা (২৫)। গ্রামের কাছেই গলা কাটা অবস্থায় তাঁর দেহ পড়ে ছিল। এক দিন আগে একই ভাবে মাওবাদীদের হাতে খুন হন অপর এক আদিবাসী দালি হাবিকা। পর পর দু’টি খুনের ঘটনায় অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
|
গ্রামে ঢুকে যুবক খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা এক যুবককে হত্যা করে তাঁর মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে চলে গেল। কাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নওয়াদা জেলার চণ্ডীপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী গ্রামে এসে বাবলু (২৫) নামের ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। কিছু দূর গিয়ে ওই যুবককে গুলি করে তারা হত্যা করে। এর পর তাঁর দেহটি গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে তারা চলে যায়।
|
ভুলে যাচ্ছেন কলমডী, মোড় ঘুরতে পারে মামলার
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ভুলে যাওয়ার রোগে ভুগছেন সুরেশ কলমডী। তিহার জেলের ডিআইজি আর এন শর্মা আজ এই কথা জানিয়েছেন। আইন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কথাটা আদালতে প্রমাণিত হলে ঘুরে যেতে পারে কমনওয়েলথ গেমস ঘিরে দুর্নীতি মামলার মোড়। দু’মাসের বেশি দিন ধরে তিহার জেলে রয়েছেন পুণের কংগ্রেস সাংসদ কলমডী। সম্প্রতি লোকনারায়ণ জয়প্রকাশ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যান করানো হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন কলমডী। ডিআইজি শর্মা জানান, তাঁদের কাছে যে নথি জমা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আগে থেকেই কলমডী এই রোগে ভুগছেন। কলমডীর আইনজীবী হিতেশ জৈনের দাবি, চার-পাঁচ বছর ধরেই রোগটা রয়েছে তাঁর। আইনজীবীরা অবশ্য বলছেন, রোগটা কত দিনের, বিচারের সময় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরাই সেটা নির্ধারণ করবেন। ডিমেনশিয়ায় স্মৃতি লোপ পাওয়ার পাশাপাশি মানুষকে চিনতে পারার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। মূলত বয়স্কদের রোগ এটা। ৬৬ বছর বয়সী কলমডীর সম্পর্কে আইনজীবী কে টি এস তুলসীর বক্তব্য, “অপরাধ যে সময় ঘটেছে, তখনও যদি ডিমেনশিয়া ছিল বলে জানা যায়, তবে বিচারে তা প্রভাব ফেলবে। জালিয়াতির অভিযোগ থেকে রেহাইও পেতে পারেন।” তুলসীর মন্তব্য, “অনেক সময় অভিযুক্তরা এমন রোগের ভান করেন।”
|
আন্তর্জাতিক বৃহন্নলা সম্মেলন পাণ্ডুয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
চতুর্থ আন্তর্জাতিক বৃহন্নলা সম্মেলন চলছে হুগলির পাণ্ডুয়ায়। গত ১৯ জুলাই থেকে ওই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, কানাডা এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের সবক’টি রাজ্য থেকে হাজার তিনেক বৃহন্নলা পাণ্ডুয়ায় এসেছেন। রবিবার তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁরা জানান, সারা ভারতে ৬০ লক্ষ বৃহন্নলা আছেন। পৃথিবীতে সেই সংখ্যা কয়েক কোটি। এ দেশে বৃহন্নলা সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদিকা দীপা বলেন, “আমরা সব দিক থেকে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। নাগরিকদের প্রাপ্য যাবতীয় অধিকার এবং সুবিধা আমাদের দেওয়া হোক।” দেশে যে কোনও অন্যায় রোধে সরকার বৃহন্নলাদের কাজে লাগালে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত বলেও তিনি জানান। এ রাজ্যের বৃহন্নলাদের আশা, নতুন রাজ্য সরকার তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণ করবে। সম্মেলন চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত। |
|