|
|
|
|
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
তৃণমূলের নেতৃত্বে বোলপুর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দলীয় সদস্যদের উপর ‘জুলুম’ ও ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ আনলেন জেলার সিপিএম নেতৃত্ব। রবিবার বোলপুর জোনাল কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বীরভূমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়।
বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দিলীপবাবু। তাঁর আরও অভিযোগ, কাঁকুটিয়া, সিঙ্গী, নাহিনা, শালন, যশড়া প্রভৃতি এলাকায় ভূমিহীন, বর্গাদার, পাট্টাদারদের হাত থেকে জমি কেড়ে নিয়ে তা জোতদারদের হাতে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল। সম্প্রতি ১২ সদস্যের সঙ্গে পদত্যাগ করেন বোলপুরের রূপপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান নিয়তি সরেন। তিনিও উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে। তবে সিপিএমের দাবি, প্রধান ও উপপ্রধান-সহ পদত্যাগ করেন বামফ্রন্টের মোট ১৩ জন সদস্য। নিয়তিদেবীর অভিযোগ, “বিধানসভা ভোটের পর থেকেই সিপিএমের অত্যাচারে আমি ও পঞ্চায়েতের ১৩ সদস্য পদত্যাগে বাধ্য হয়েছি।” দিলীপবাবু বলেন, “প্রশাসনকে বিষয়গুলি জানিয়েছি। সমাধান না হলে অবস্থান-আন্দোলনে যাব।” অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দ্রনাথবাবুর দাবি, “এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিপিএম সারা রাজ্যে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করেছে। সাধারণ মানুষ জবাব তার চাইলেই তাকে ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস’ আখ্যা দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা সমস্ত দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না। দুর্নীতিতে জড়িত হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, নেতা-কর্মী কাউকেই ছাড়া হবে না। আমরা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়ন করছি।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাল্টা দাবি, “তৃণমূল এক টুকরো জমিও দখল করে জোতদারদের দেয়নি। আসলে সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” জেলা পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “মাসখানেক আগে একটি চিঠি পেয়েছিলাম। তাতে কারও বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট কোনও অভিযোগ ছিল না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|