|
|
|
|
জেলার দুই কলেজে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট ও বোলপুর |
কলেজে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল রামপুরহাট ও বোলপুরে। রামপুরহাট কলেজে তিন বছর আগে সেল্ফ ফিনান্সিং কোর্স হিসেবে স্নাতকস্তরে শারীরশিক্ষার ক্লাস শুরু হয়েছিল। অথচ নেই উপযুক্ত পরিকাঠামো। শনিবার সকালে এই অভিযোগে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে হয় মাঠে। অথচ, মাঠ খেলার অযোগ্য। ময়লা, কাঁচের বোতলে ভরে থাকে সবসময়। তাই ফুটবল, ভলিবল, লংজাম্প, হাইজাম্প প্রভৃতি খেলার প্র্যাকটিস করতে পারেন না পড়ুয়ারা। মেয়েদের জন্য নেই কোনও কমনরুম।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সমস্যার সমাধান করতে বারবার অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরে আন্দোলনে সামিল হয় কলেজের এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সদস্যরা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীরাও। কলেজের পাশকোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার দাবিও জানানো হয়। অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খেলার মাঠ যাতে পরিষ্কার থাকে সে জন্য খুব শীঘ্রই সেটি ঘিরে দেওয়া হবে।”
শনিবার পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালেন বিশ্বভারতীতেও। দর্শন বিভাগের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা এ দিন তাঁদের বিভাগেই বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, এ দিন অনার্সের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এসে জানা যায় পরীক্ষা হবে না। কবে এই পরীক্ষা হবে তা-ও নির্দিষ্টভাবে জানাননি কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অনুপ বর্মন বলেন, “আজ পরীক্ষা ছিল না। একটা ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা এসেছেন। কবে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষা বিভাগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাবে।”
অন্য দিকে, শনিবার বিশ্বভারতীর প্রতিমা গার্লস হস্টেলের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীরা হস্টেলের যথার্থ নিরাপত্তা, নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার, হস্টেল চত্বরে বহিরাগতদের আসা বন্ধ করা প্রভৃতি দাবি লিখিতভাবে জানান কর্মসচিবকে। বিশ্বভারতীর কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র বলেন, “নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ঠিক নয়। তবে আমরা ছাত্রীদের আবেদন খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” দর্শন বিভাগের পরীক্ষা সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য, “পরীক্ষা বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|