|
|
|
|
বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ মদনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। আপাতত পাঁচ মহকুমা নিয়ে একটি কোর কমিটি তৈরি করে জেলার খেলা পরিচালনা করা হবে। পরে জেলার নতুন ক্রীড়া সংস্থা তৈরি হবে। রবিবার বর্ধমানে মদনবাবু বলেন, “জেলাশাসক বলেছেন, তিনি সংস্থার সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে না জানিয়েই নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। অবৈধ ভাবে তৈরি কোনও কমিটি বা সংস্থাকে কাজ চালিয়ে যেতে দিতে পারি না। তাই পাঁচ মহকুমা নিয়ে একটি কোর কমিটি তৈরি করে খেলা পরিচালনা করতে বলেছি জেলাশাসককে।” |
|
বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে খুদে খেলোয়াড়ের সংবর্ধনা। |
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সভা ডেকে গোপন ব্যালটের পরিবর্তে হাত তুলে ভোট দিয়ে বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির পদাধিকারীদের নির্বাচন করা হয়। বর্ধমানের জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনার বক্তব্য, ওই নতুন কমিটি ‘অবৈধ ভাবে গঠিত’। তাঁর যুক্তি, ওই সংস্থার নতুন কমিটির পদাধিকারী নির্বাচনের আগে তাঁকে সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। পরে কমিটি তৈরি করে তাঁর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি কমিটির অনুমোদন সংক্রান্ত নথিতে সই করেননি। তা ছাড়া, জেলাশাসক আরও জানান, যে সভায় ওই নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তাঁর কোনও প্রতিনিধি না থাকায় কমিটির রেজিস্ট্রেশনও করানো যায়নি। এই প্রেক্ষিতেই এ দিন মদনবাবু বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে আপাতত কোর কমিটি গড়ে খেলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন বর্ধমানে এক সভায় জেলাশাসককে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা মাঠে পড়ে থাকেন, খেলাধুলো বোঝেন, কোর কমিটিতে তাঁদেরই রাখুন। ওই কমিটিতে কারা রয়েছেন, ৭ অগস্টের মধ্যে তা আমাকে জানান।”
এ দিন ক্রীড়ামন্ত্রী আরও জানান, বর্ধমানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার দল বাছাই নিয়ে দলবাজির অভিযোগ উঠেছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি বাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এত দিন ভাড়া দেওয়া হত। ক্রীড়ামন্ত্রী তা ভাড়া দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দেন। মদনবাবু বলেন, “ওই বাড়ি বিয়েতে ভাড়া দিয়ে যে অর্থ পাওয়া যায়, তা ঠিক কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ পেয়েছি। এতে খেলাধুলোরও ক্ষতি হচ্ছে।”
|
রায়নায় যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মনোজিৎ যশ (২৬)। বাড়ি রায়না থানার আরুই গ্রামে। প্রামিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শনিবার দুপুরে কীটনাশক জাতীয় কিছু পান কে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাত সেখানেই তিনি মারা যান। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, মনোজিৎবাবুর হেফাজত থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে তিনি ওই গ্রামের ৬ তৃণমূল কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে।” সিপিএমের রায়না জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামাপদ পাল বলেন, “ওই যুবক তাঁদের দলের সমর্থক। তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে ১০০ দিনের প্রকল্পের হিসাব চেয়ে উত্যক্ত করা হচ্ছিল। প্রানে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।” তবে তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|