|
|
|
|
উত্তরপ্রদেশের গ্রাম থেকে বিক্রি হওয়া দুই শিশু উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেমারি |
উত্তরপ্রদেশের ফরিদাবাদ গ্রামে বিক্রি করে দেওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ল মেমারি থানার পুলিশ। শেষে স্থানীয় থানা ও জিআরপি-র সহায়তায় দুই শিশু ও তাদের মাকে নিয়ে শনিবার রাতেই বর্ধমানের উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে পুলিশ।
প্রায় পাঁচ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের বাসিন্দা রাজুর সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। সম্প্রতি মেমারি থানায় এসে তিনি অভিযোগ জানান, তাঁর স্বামী রাজু রাউত দুই শিশু-সহ তাঁকে গেরোপ্রসাদ রাউত নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত তাঁর বাবা দেবু প্রামাণিকও। তিনি কোনও মতে পালিয়ে আসতে পারলেও, শিশু দু’টি গেরোপ্রসাদের বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। বধূর বাড়ি মেমারি থানার শান্তিনগরে। পালিয়ে এসে প্রথমে এই ঘটনার কথা তিনি গ্রামের বাসিন্দাদের জানান। পুলিশ জানিয়েছে, খোঁজ নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জানতে পারেন, ওই বধূর বয়স যখন ১৭, তখন তাঁর বাবা তাঁকে রাজুর কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। রাজু দুই সন্তান-সহ তাঁকে গেরোপ্রসাদের কাছে বিক্রি করে।
এর পরেই ‘টোপ’ ফেলেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাজুকে ফোন করে তাকে বলা হয়, গ্রামে একটি বিবাহযোগ্যা সুন্দরী মেয়ে রয়েছে। ইচ্ছে করলে তাঁকে ‘বিয়ে’ করে নিয়ে যেতে পারে রাজু।
এই খবর শুনে রাজু ও গেরোপ্রসাদ গ্রামে আসতেই গ্রামবাসীরা তাদের ও ওই বধূর বাবা দেবুকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গত বুধবার ধৃত তিন জনকে বর্ধমানের সিজেএম আাদালতে হাজির করানো হলে বিচারক রাজুকে রবিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই মেমারি থানার সেকেন্ড অফিসার হারাধন গোস্বামীর নেতৃত্বে চার জনের একটি দল উত্তরপ্রদেশের গ্রামে যান শিশু দু’টিকে উদ্ধার করতে। সঙ্গে যান ওই বধূও।
মেমারি থানা সূত্রে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে স্থানীয় ইগলাস থানার সাহায্য নিয়ে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করার পরেই সশস্ত্র গ্রামবাসীরা পুলিশের এই দলটিকে ঘিরে ধরে তিন জনকেই ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ইগলাস থানার পুলিশ তাঁদের কোনও মতে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই শিশু দু’টি ও মহিলা গেরোপ্রসাদের ‘সম্পত্তি’। তাই তাদের গ্রামেই রেখে যেতে হবে। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মেমারি পুলিশের ওই দলটি ফরিদাবাদ স্টেশন থেকে ট্রেনে রওনা হয়েছে।
বর্ধমানের এসপি হুমায়ুন কবীর বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ওই গ্রামে মেমারির আর কোনও যুবতীকে আটকে রাখা হয়েছে কি না পুলিশকে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|