ভাদু গান কান্দি মহকুমার অন্যতম লোক-সংস্কৃতি সম্পদ। কৃষি নির্ভর রাঢ়ের ময়ূরাক্ষীর অববাহিকায় পল্লী গুলি বর্ষার অবসানে শরতে ভাদু উৎসবে মুখর হয়ে উঠত। সময়ের ব্যবধানে এখন ভাদু উৎসব অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে। রাজনন্দিনী ভাদু যেন রাঢ়ের কূলবধূ। জনশ্রুতি, মানভূমের অন্তর্গত কাশীপুরের রাজনন্দিনী হলেন ভাদু। তাঁর রূপ-সৌন্দর্য ছিল ঈর্ষণীয়। বিয়ের পর ভাদুর অকাল মৃত্যু ঘটে। তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ভাদু উৎসব ও ভাদু গানের সূচনা। ওই উৎসব চলে সারা ভাদ্র মাস জুড়ে। ভাদুর আসরে রাখা হয় রাজকন্যা ভাদুর একটি কল্পিত মাটির মূর্তি। আগে ওই গানের আসরে ব্যবহৃত বাদ্য যন্ত্র ছিল ঢোল আর জুড়ি। সময়ের দাবি মেনে এখন সংযোজিত হয়েছে হারমোনিয়াম, ক্যাসিও এবং তবলা। কথায় আর সুরেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। অনুপ্রবেশ ঘটেছে ছায়াছবির গানের সুরেরও। কেবল তাই-ই নয়, ভাদুকে কোথাও কোথাও ছয়াছবির নায়িকাদের সঙ্গেও তুলনা করা হয়। ভাদু গানের বিষয়বস্তু তাঁর কুমারী জীবন, ইচ্ছা, আকাঙ্খা, অভিপ্রায়, বিয়ে, বেদনা-বিধুর করুণ অকাল মৃত্যু এবং আঞ্চলিক কিছু ঘটনা ও বৈশিষ্ট্য। দূরদর্শন, সিডি, আইপড ও ছায়াছবির দাপটে ভাদুর মতো লোকসংস্কৃতির অনেক ধারাই আজ সংকটের মুখে। ভাদুও কি তবে এক দিন লুপ্ত হয়ে যাবে! |
নওদা থানার টুঙি ও ঝাউবোনা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের সমস্যায় ভুগছেন। লো-ভোল্টেজ এতটাই যে ওই আলোয় লেখাপড়াও করা যায় না। টিউব লাইট জ্বলে না। লো-ভোল্টেজের কারণে বাড়িতে বাড়িতে বিশেষ ধরণের বাল্ব লাগানো হয়েছে। ওই বাল্বও টিম টিম করে জ্বলে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের কাছে আবেদন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে অশেষ কষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি দেওয়া হোক। |
ফরাক্কা ব্লকের এনটিপিসি-র সন্নিকটে ফিডার ক্যানালের পশ্চিমপাড়ে শঙ্করপুর ও পাঁচুলা নামের দু’টি মৌজা জুড়ে জনবসতি। ২০০৩ সালে ওই দু’টি গ্রামে বৈদ্যুতিকরণ হয়েছিল। কিন্তু তার কয়েক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যায়। ফলে তার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর ধরে গ্রাম দু’টি রয়েছে অন্ধকারে ডুবে। অথচ কি ট্র্যাজেডি, অন্ধকারে ডুবে থাকা ওই দু’টি গ্রামের অদূরে প্রতিষ্ঠিত ফরাক্কা তাপবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা বিদ্যুত দেশের বিভিন্ন এলাকার অন্ধকার দূর করছে। আর এখানে আক্ষরিক অর্থেই প্রদীপের নিচে অন্ধকার। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, দ্রুত ওই দু’টি গ্রামের অন্ধকার দূর করতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হোক। |
নদিয়া জেলা জুড়ে বেশ কিছু দিন ধরে খুচরো টাকা পয়সার বড় অভাব দেখা দিয়েছে। হাটে, বাজারে, ট্রেনে, বাসে, চায়ের দোকানে সর্বত্র খুচরো পয়সা ও খুচরো টাকা নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রতাকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দশ টাকার নোট দিয়ে পাঁচ টাকার জিনিস কিনলেও বিক্রেতা পাঁচ টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। বাসের কন্ডাকটারের সঙ্গে যাত্রীদের হামেশাই বিবাদ বাধছে। প্রতিদিনের ওই সমস্যা থেকে আমজনতাকে রেহাই দিতে সরকারি ব্যবস্থা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। |
আমি নদিয়া জেলার মীরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক। সর্বশিক্ষা মিশনের নির্দেশ মেনে স্কুল দফতর থেকে সব সম্প্রদায়ের ছাত্রী এবং তপসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাকের জন্য ৪০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। শুভ উদোগ। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে। কিন্তু ওই নির্দেশের ফলে গভীর সমস্যাও সৃষ্টি হতে চলেছে। তপসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেরা একই স্কুলে এক সঙ্গে লেখাপড়া করে। সরকারি নির্দেশের কারণেই তাদের কিন্তু পোশাকের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শিশু মনে জাতপাত ও সম্প্রদায় গত প্রশ্ন মাথা চাড়া দেবে। তা ছাড়াও সংখ্যালঘু ও অন্য সম্প্রদায়ের গরিব ঘরের ছাত্ররা কেন বঞ্চত করা হবে? ফলে তাদেরও ওই আর্থিক অনুদান থেকে বঞ্চিত না করাই শ্রেয়। |