দিল্লি দরবার

স্বভাববিনয়ী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি) ছিলেন গৌতম সান্যাল। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিব। কিন্তু কলকাতার অনেকেই জানেন না যে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের দফতর থেকে মন্টেকের দফতর সর্বত্রই প্রিয়পাত্র গৌতম সান্যাল। তিনি যে হেতু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, তাই রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে যে দিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ফাইলটি স্বাক্ষর করে ছেড়ে দিলেন, সে দিন খোদ প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি টি কে নায়ার ফোন করে গৌতমবাবুকে অভিনন্দন জানান। নায়ার সাহেব কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও। গৌতম দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স-এর কৃতী ছাত্র। বিদেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও আছে তাঁর। দিল্লি দরবারে কাজ করার দীর্ঘ প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বরকত গনি খান যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গৌতমবাবু তাঁর সঙ্গেও কাজ করেছেন। ক্যাবিনেট সচিব ছিলেন রাজাগোপাল। গৌতমবাবু তাঁর সঙ্গে ক্যাবিনেট সচিবালয়েও কাজ করেছেন। রাজাগোপাল যখন বিদ্যুৎ সচিব, তখন বিদ্যুৎ মন্ত্রকেও ছিলেন গৌতম। রাজাগোপাল যে দিন অবসর নিলেন, সে দিন পান্ডারা পার্কের বাড়িতে ফেয়ারওয়েল পার্টিতে গৌতম ছিলেন কেন্দ্রবিন্দু। স্বভাববিনয়ী গৌতম পশ্চিমবঙ্গের আইএএস অফিসারদের সঙ্গে এখন মহাকরণে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। দিল্লি এবং মমতার অন্যতম যোগসূত্রও তিনি।

কেন হেগড়ে
কর্নাটকের লোকায়ুক্ত সন্তোষ হেগড়ে কেন ইয়েদুরাপ্পার পিছনে পড়েছেন, তা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। ইয়েদুরাপ্পা বর্তমানে মরিশাসে। সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কেন ওই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পিছনে হেগড়েকেই দায়ী করেছে বিজেপি শিবির। প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন দেশের বাইরে, তখনই কেন এই রিপোর্ট ফাঁস করা হল? কেনই বা হেগড়ে লাগাতার ইয়েদুরাপ্পার বিরোধিতা করে আসছেন? হেগড়ে যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে আসছেন, তাতে শুধু ইয়েদুরাপ্পা-বিরোধী বিজেপি নেতা অনন্তকুমারই নয়, রাজ্য কংগ্রেসের ভূমিকাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব।

ফাঁপরে জেটলি

এক দিকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও অন্য দিকে আইনের বিচার। কাকে প্রাধান্য দেবেন অরুণ জেটলি? দুঁদে এই আইনজীবী এত দিন কর্নাটকের বিষয় দেখে এসেছেন। কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল সম্প্রতি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিষয়ে একটি রিপোর্ট অরুণ জেটলির কাছে পাঠিয়েছেন। লোকায়ুক্ত মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা সবিস্তার জানা না গেলেও তাতে যে অবৈধ খনন ও রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি নিয়ে বক্তব্য রয়েছে, তা স্পষ্ট। দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এর পরে ইয়েদুরাপ্পার ভবিষ্যৎ এখন সুতোয় ঝুলছে। দলের মধ্যে সুষমা স্বরাজ-সহ অনেকে তাঁকে বিদায় করতে মাঠে নেমে পড়েছেন। ফলে জেটলির এখন জোড়া সমস্যা। সম্পর্ক না ন্যায় বিচার, কাকে রেখে কাকে তিনি ফেলবেন, সেটাই এখন দেখার।

চুলও বাঁধেন

মমতা যে ছবি আঁকেন, তা অনেকেরই জানা। প্রায়ই তাঁর ছবির প্রদশর্নী হয়। কিন্তু শুধু মমতা নন, তাঁর প্রশাসনের শীর্ষেও এমন অফিসার রয়েছেন, যাঁরা বেশ ভাল ছবি আঁকেন। কিন্তু নীরবে। এমনই এক জন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা। মমতার প্রিয়পাত্র তিনি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যে যে ভাবে ব্রিগেডের সভা সফল হয়েছে, তাতে পচনন্দার ভূমিকায় খুশি খোদ মমতা। পচনন্দার অন্যতম হবি ছবি আঁকা। তেল ছবি, জলছবি, বিভিন্ন ছবিতেই সিদ্ধহস্ত মকবুল ফিদা হুসেন-ভক্ত ওই পুলিশ কমিশনার। ছুটির দিনে সময় পেলেই তুলি-ক্যানভাস নিয়ে বসে পড়েন পচনন্দা।

Previous Story Desh First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.