|
|
|
|
ফাইকে নিয়ে আমেরিকার সমালোচনায় পাকিস্তান |
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ |
আইএসআইয়ের চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কাশ্মীরি নেতা গুলাম নবি ফাইয়ের শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। ফাইয়ের মুখ্য আইনজীবী নিনা গিনসবার্গ সময় মতো আদালতে উপস্থিত হতে না পারার কারণেই শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। এ দিকে, ফাইকে গ্রেফতার করা নিয়ে সরাসরি আমেরিকার সমালোচনায় নেমেছে পাকিস্তান সরকার। বলা হয়েছে, ইসলামাবাদকে কলঙ্কিত করার লক্ষ্যেই এমন কুৎসা রটাচ্ছে ওয়াশিংটন।
পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের আফিসাররা গত কাল রাতেই আমেরিকার দূতাবাসে একটি প্রতিবাদপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। তাতে ফাই নিয়ে পাকিস্তানকে অহেতুক দোষারোপের জন্য আমেরিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আমেরিকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদেরও অবিলম্বে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর সমস্যার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ফাইকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে এফবিআই। ফাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চরদের সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন এবং হাজার হাজার ডলার নিয়েছেন। সেই অর্থেই মার্কিন আইনসভায় প্রভাব বাড়িয়েছেন। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে সম্মেলন করেছেন। এ ভাবেই তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের মার্কিন প্রয়াসকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। ফাই গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলছে ভারত। ফাইয়ের সমর্থনে কিংবা বিপক্ষে কিছুই বলতে চায়নি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। দফতরের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রকাশ বলেছেন, “আমি এই নিয়ে কিছুই বলব না। প্রকাশিত তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমেই সত্যিটা সামনে আসবে।” এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদমাধ্যম উপদেষ্টা হরিশ খারে ফাইয়ের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন বলে যে খবর রটেছিল তা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে হরিশ জানিয়েছেন, তিনি ফাইকে চিনতেন না, তাই আতিথেয়তা গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। |
|
|
|
|
|