মহকুমা হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগে চিকিসক নেই। বিপাকে রোগীরা। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান রোগীরা। মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার সুপ্রিম সাহা জানান, মহকুমা হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগে স্থায়ী চিকিসক ছিল না। মহকুমা হাসপাতালে অন্য বিভাগের একজন চিকিৎসক ওই অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব সামলাতেন। যক্ষ্মা বিভাগে নতুন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। তবে তিনি এখনও দ্বায়িত্ব বুঝে নেননি। তিনি দু’এক দিনের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রোগী বঞ্চুকামারির সুষমা বমর্ন ও আলিপুর দুয়ারের নরেশ রায় অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে মহকুমা হাসপাতালে যক্ষ্মা বিভাগে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন। কবে চিকিসক বসবেন তা কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারছেন না।
|
হাসপাতালে জল ও বিদ্যুতের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সোমবার রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন কিছু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রেখা মাজিদের ক্ষোভ, “রবিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। সাত ও দুই নম্বর ওয়ার্ডে আলো জ্বললেও পাখা বন্ধ ছিল। সোমবার সকালেও একই সমস্যা হয়েছে। বিদ্যুতের পাশাপাশি জলেরও সমস্যা রয়েছে।” রোগীদের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে ওয়ার্ডে জল পাওয়া যায় না। সোমবারও মেলেনি। মহকুমা হাসপাতাল সুপার সুভাষচন্দ্র ঘাটা বলেন, “হাসপাতালে ২টি জেনারেটর রয়েছে। সেগুলির সাহায্যে জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়।” জলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জনানো হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অন্য দিকে, ঝালদা ১ ব্লকের ইলু এবং মাহাতো মারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবিতে সোমবার বিএমওএইচ দেবাশিস মণ্ডলকে স্মারকলিপি দিলেন হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা। দেবাশিসবাবু বলেন, “ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ফের বলব।”
|
চিকিৎসাধীন এক প্রৌঢ় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিকশা চেপে একাই চলে গেলেন বাড়ি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। মৃত এম কামেশ্বর রাও (৬১)-এর বাড়ি শহরের ডেভলপমেন্টে। সোমবার সর্দি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসকদের অনুমান, তিনি যক্ষ্মাক্রান্ত। তবে সম্পূর্ণ চিকিৎসার আগেই এ দিন দুপুরে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। ১১-১৩টা ভিজিটিং আওয়ার্স শেষের পরে নার্সরা বিষয়টি খেয়ার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ততক্ষণে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়। তাঁর ছোট ছেলে তারকেশ্বর বলেন, “বাবা বাড়িতে ঢুকেই মাথা ঘুরে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।” সকাল-সন্ধ্যায় ভিজিটিং আওয়ার্সে পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় হামেশাই রোগী নিখোঁজের ঘটনা ঘটে বলে ‘অসহায় স্বীকারোক্তি’ হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পালের।
|
সম্প্রতি বাগনানের কল্যাণপুর শান্তি সঙ্ঘ বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করে। সংস্থার নিজস্ব প্রাঙ্গণে মোট ৯৬ জনের চক্ষু পরীক্ষা করানো হয় বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
চটকলে কাজ করার সময়ে যন্ত্রের ধারালো অংশ বুকে ঢুকে গিয়েছিল ভদ্রেশ্বরের বিষ্ণুপদ রায়ের। বুকের ভিতরে প্রায় চার ইঞ্চি গভীরে গেঁথে গিয়েছিল সেই অংশটি। অস্ত্রোপচার করে তা বার করে রোগীকে নতুন জীবন দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। থাইমাস গ্ল্যান্ডটিও সারিয়ে তোলেন তাঁরা। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অস্ত্রোপচারের নাম ‘এক্সপ্লোরেটরি স্টারনোটমি সার্জারি’। চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক মুখোপাধ্যায় এবং সন্দীপ সর্দার গত রবিবার অস্ত্রোপচারটি করেন। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান, আপাতত বিষ্ণুপদবাবু বিপন্মুক্ত। চলতি সপ্তাহেই বাড়ি ফিরতে পারবেন তিনি। |