কাঞ্চনজঙ্ঘার ডায়েরি
কিশোর সাহা ও অনির্বাণ রায়
|
কোমর দুলিয়ে |
|
সরসারি মঞ্চে না-গিয়ে মাঠে বসে থাকা জনতার মাঝে চলে গেলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। মাইকে তখন প্রবল জোরে বাজছে, ‘দরিয়ায় আইল তুফান’। রেলের আধিকারিকদের অবাক করে দিয়ে কোমর দুলিয়ে নিলেন একবার। পরে বক্তৃতাতেও বললেন, “আজ সত্যি আমার মন কেমন কেমন করছে। এটা যে রেলমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম সরকারি অনুষ্ঠান।” |
|
তিনি গৌতম |
|
সরসারি মঞ্চে না-গিয়ে মাঠে বসে থাকা জনতার মাঝে চলে গেলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। মাইকে তখন প্রবল জোরে বাজছে, ‘দরিয়ায় আইল তুফান’। রেলের আধিকারিকদের অবাক করে দিয়ে কোমর দুলিয়ে নিলেন একবার। পরে বক্তৃতাতেও বললেন, “আজ সত্যি আমার মন কেমন কেমন করছে। এটা যে রেলমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম সরকারি অনুষ্ঠান।” |
|
দিদির চেয়ার |
|
লম্বা মঞ্চে সার দিয়ে রাখা চেয়ার। ঠিক মধ্যিখানের চেয়ারটা অনেকটা সিংহাসনের মতো। চেয়ারটি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। কিন্তু সভা শুরুর কিছু আগে চেয়ারটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। জানা গেল, নিজের জন্য ‘সিংহাসন’ দেখলে ‘দিদি’ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। সেই আশঙ্কায় চটজলদি চেয়ার বদল। |
জোট-ছবি |
রেলের অনুষ্ঠান। কিন্তু মাঠের তদারকির দায়িত্বে শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল। দেখভালের দায়িত্বে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। আসলে ২০০৯ সালে বামেদের সমর্থনে গঙ্গোত্রীদেবী মেয়র ও নান্টুবাবু ডেপুটি মেয়র হওয়ার পরে রেলের কিংবা রাজ্যের তরফে আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে সে ভাবে আমন্ত্রিতই হননি। ইস্তফা দিয়ে নতুন বোর্ড গঠনের পরে ছবিটা বদলেছে। এক কংগ্রেস কাউন্সিলর বললেন, “অনেক দিন পরে নিখুঁত জোট-ছবি দেখল শিলিগুড়ি। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী।” |
দাঁড়িয়ে তবলা |
অনুষ্ঠানের শেষে সমবেত কন্ঠে শুরু হল জাতীয় সঙ্গীত। সকলে উঠে দাঁড়ালেন। কিন্তু গানের দলের তবলা বাদক বসে বসে তবলা বাজাচ্ছেন দেখে হাত নেড়ে তাঁকে উঠে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবলা বাদক পাল্টা ইশারা করে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, বসে তবলা বাজানো সুবিধাজনক। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এ বার দু’হাত নেড়ে ফের উঠে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। নিরুপায় তবলা বাদক এক হাতে ডুগি তুলে দাঁড়িয়ে পড়েন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই বাজান তিনি। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার পরে তবলা বাদককে তিনি বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত হলে উঠে দাঁড়াতেই হবে।” |
সোনার বাংলা |
প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ভোটে জেতা। সেটায় সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’মাসের মধ্যেই পাহাড়ে চুক্তি। সিঙ্গুর, জঙ্গলমহলের সমস্যাও মিটতে চলেছে। এ বার দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ। সোনার বাংলা গড়া। অতি সংক্ষিপ্ত ভাষণে হাততালি কুড়োলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। |
|