রাজ্যের ল্যান্ড বা ভূমি ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা দায়ের করল রাজ্য সরকার। আজ, বুধবার ওই মামলার শুনানি হবে বলে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী অভিজিৎ সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চাইবে রাজ্য সরকার।
জমিজমা নিয়ে একটি মামলার ভিত্তিতে রাজ্যের ভূমি ট্রাইব্যুনালের অস্তিত্ব ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চের ওই রায়ের পরে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে ভূমি ট্রাইব্যুনাল।
এই অবস্থায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। অভিজিৎবাবু মঙ্গলবার বলেন, “সোমবার আমরা মামলা দায়ের করেছি। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন তা গ্রহণ করেছে। বুধবার বেলা ২টোয় শুনানি হবে।” সর্বোচ্চ আদালত এটিকে ‘জরুরি মামলা’ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
সরকারি আইনজীবী জানান, ভূমি ট্রাইব্যুনাল অসাংবিধানিক বলে হাইকোর্ট যে-রায় দিয়েছে, তা ‘ভুল’ বলে মনে করে রাজ্য সরকার। অভিজিৎবাবুর ব্যাখ্যা, ২০০৫ সালে জমি নিয়ে একটি মামলায় রাজ্য ট্রাইব্যুনালের আইনকে ‘আলট্রা ভাইরাস’ বা ‘এক্তিয়ার-বহির্ভূত’ বলে জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। সুতরাং সেই আইনকে হাইকোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ বলতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্যের পক্ষে অভিজিৎবাবু ছাড়াও সওয়াল করবেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যম।
|
অবসরের সাড়ে তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হলেন গৌতম সান্যাল। মঙ্গলবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। গৌতমবাবু সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসে আছেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। পরে, মমতা রেলমন্ত্রী কাকালীন তাঁর ওএসডি-পদে যোগ দেন তিনি। ২০ মে রাজ্যে নতুন সরকারের শপথের পরে মমতার ডাকে কলকাতায় এসে তিনি কাজ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেই। মহাকরণের খবর, গৌতমবাবু যাতে রাজ্যের অধীনে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ১৫ জুলাই এই ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে দিল্লি। ৩১ অক্টোবর তিনি অবসর নেবেন। এক সরকারি মুখপাত্র অবশ্য জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় অবসরের পরেও ‘এক্সটেনশন’-এ থেকে যেতে পারেন গৌতমবাবু।
|
বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার শ্রম আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুরে একটি বৈঠক করেন রাজ্য শ্রম কমিশনার অমল রায়। বৈঠক শেষে রাজ্য সহকারী শ্রম কমিশনার দিলীপ রথ জানান, শ্রমিক-কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। তাঁরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হন তা দেখতে হবে। তাছাড়া শিশুশ্রম রুখতে সবরকম ভাবে চেষ্টা চালানো হবে। |