|
|
|
|
টাকা আছে, রাজনীতিতেই আটকে রাস্তা তৈরির কাজ |
অশোক সেনগুপ্ত • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ ছিল ৩৬৯০ কোটি টাকা। তাতে ১৫ হাজার সাত কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ছিল রাজ্যে। কিন্তু গত ১০ বছরে ৩৪৫৯ কোটি টাকা খরচ করেও ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’য় ১০ হাজার ৬৯০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা তৈরি করা যায়নি। অর্থাভাব নয়, রাস্তাগুলির কাজ আটকে গিয়েছে রাজনৈতিক বাধায়। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায় বর্তেছে তৃণমূলের উপরে।
যেমন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর। গ্রামোন্নয়ন দফতরের খবর, ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে সেখানে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ হয় পাঁচ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় অর্ধেক কাজও হয়নি। বর্ধমানের কাটোয়ায় প্রায় সওয়া এক বছর ধরে আটকে আছে একটি রাস্তা। রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পরে ওই সব রাস্তার জট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছেন নতুন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। রাস্তা তৈরির কাজে গতি আনার ক্ষেত্রে বাধাটা ঠিক কোথায়?
পঞ্চায়েত দফতরের এক অফিসার জানান, এই প্রকল্পে জমি নিলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ মেলে না। অনেক ক্ষেত্রে জমি-মালিকেরা আপত্তি জানান। তাঁদের ক্ষোভকে সংগঠিত করেছে বিভিন্ন দল। এ ব্যাপারে তৃণমূলই এগিয়ে। পশ্চিমাঞ্চলে মাওবাদী হুমকি ও নাশকতা এবং বহু ক্ষেত্রে আইনি জটিলতাও রাস্তার কাজের গতি অনেকটা থমকে দিয়েছে।
মন্ত্রী কি নিজের দলের বাধা কাটাতে পারবেন? চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “রাজনীতি নয়, আমাদের লক্ষ্য আটকে থাকা কাজে গতি আনা।” কাজে গতি আনতে চলতি মাসেই বিভিন্ন জেলার সংশ্লিষ্ট নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের তিনটি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষ্যপূরণ না-হওয়ায় সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বৈঠকে কথা শুনতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। তার পরেই বকেয়া কাজ দ্রুত সারতে উদ্যোগী হয়েছে গ্রামোন্নয়ন দফতর।
ওই দফতর সূত্রের খবর, সহস্রাধিক পরিবার আছে, এমন ৬৭৬৫টি বসতির পাশে রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। গত ১০ বছরে রাস্তা পেয়েছে ৫৩৯৪টি বসতি। চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “প্রকল্প রূপায়ণে আরও গতি আনা উচিত ছিল। ১২০০ কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়ে ৬০০ কোটি টাকা চেয়েছি আমরা।” |
|
|
|
|
|