টুকরো খবর
এক লাইনে ফের দু’টি ট্রেন
সাইথিয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রক্ষা পেল শেষ মুহূর্তে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও ধুলিয়ানের মধ্যে বল্লালপুর হল্ট স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে দাঁড়িয়ে ছিল ৫৩০২৮ ডাউন আজিমগঞ্জ-মালদহ টাউন প্যাসেঞ্জার। আচমকাই যাত্রীরা দেখেন ওই লাইনে ঢুকছে ১৩৪২১ আপ নবদ্বীপ-ফরাক্কা এক্সপ্রেস। আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার থেকে অনেক যাত্রীই আতঙ্কে প্ল্যাটফর্মে লাফিয়ে পড়তে থাকেন। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে শিশুরা। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফেরিওয়ালাও তারস্বরে চেঁচাতে থাকেন। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন স্টেশন মাস্টার। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে নবদ্বীপ এক্সপ্রেসের গতি আচমকাই পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জারের মাত্র ২০০ মিটার দূরে এসে থমকে যায় ট্রেনটি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন যাত্রীরা। পূর্ব রেল সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সিগন্যাল না পেয়েই নবদ্বীপ এক্সপ্রেসটি দাঁড়িয়ে পড়ে। বড় কোনও দুর্ঘটনা কোনও ভাবেই ঘটত না। কিন্তু সিগন্যাল-বিভ্রাটের ফলেই তো এক লাইনে ঢুকে পড়েছিল নবদ্বীপ এক্সপ্রেস? সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা হত না কী করে জোর দিয়ে বলছে রেল? ফরাক্কার রেল ট্রাফিক ইনস্পেক্টর এম কে শর্মা বলেন, “পয়েন্ট বক্সের সিগন্যাল গোলোযোগের জন্যই এই বিভ্রাট। তবে যেহেতু এই সিগন্যাল লাল হয়ে ছিল, তাই নবদ্বীপ এক্সপ্রেস আর এগোত না।” এই উত্তরে অবশ্য যাত্রীদের আশ্বস্ত করা যায়নি। তাঁরা কেবিন রুমের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম আর কে মাথুর এত বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনার কথা অবশ্য জানেন বেলা বারোটা নাগাদ। ক্ষুব্ধ ওই রেল কর্তা বলেন, “এত বড় ঘটনার কথা কর্মীরা আমায় কিছুই জানাননি। দুর্ঘটনা ঘটত কি না বড় কথা নয়, একই লাইনে দু’টি ট্রেন এল কী করে? এর তদন্ত হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি অধীরের
বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার তাঁর দাবিপত্র নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার এক দল বিধায়ক পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করেন। মনোজবাবু পরে মহাকরণে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণনাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি একটি সমীক্ষাও করাবেন বলে তাঁদের জানান। অধীরবাবু তাঁর চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে লিখেছেন, বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজের বিরাট ঐতিহ্য রয়েছে। বহু কৃতী মানুষ ওই কলেজের ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন। ওই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে মুর্শিদাবাদের ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন।

মিডডে মিল নিয়ে তাণ্ডব হোগলবেড়িয়ায়
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশ কিছু মহিলার তাণ্ডবে মঙ্গলবার মিড ডে মিল খেতে পেল না হোগলবেড়িয়ার মুক্তদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এই স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১৯১ জন। তার মধ্যে এই দিন এসেছিলেন ১২০ জন। এই দিন দুপুরে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই মহিলা স্কুলে রান্না করছিলেন। ভাত, কলাইয়ের ডাল হয়ে গিয়েছে। বাকি ছিল আলু পটোলের তরকারি। হঠাৎই ওই গ্রামের অন্য একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকজন মহিলা রান্নাঘরে ঢুকে সব খাবার ফেলে দেয়। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “ওই সময়েই স্কুলে চার শিক্ষক চারটি ঘরে ক্লাস নিচ্ছিলাম। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই ঘটনা ঘটে যায়।” এই এলাকায় এটিই একমাত্র প্রাথমিক স্কুল। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই আসেন দরিদ্র পরিবার থেকে। আদিবাসী পরিবারেরও বেশ কিছু ছেলেমেয়ে এই স্কুলে পড়াশোনা করে। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “মিড ডে মিল এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” করিমপুর ১ বিডিও সুমম্ত রায় বলেন, “জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, এতদিন ধরে ওই স্কুলে যাঁরা রান্না করছিলেন, তাঁরাই রান্না করবেন। নতুন করে কাউকে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। এখানেও সেই নিয়মই চালু ছিল। কিন্তু তবুও কেন অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্কুলে ঢুকে এই কাণ্ড করলেন, তা বুঝতে পারছি না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের রেণুকা প্রামাণিক বলেন, “ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কোনও ক্ষোভ বা দাবি থাকলে আমাদের সঙ্গে তাঁরা তা নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু খাবার নষ্ট করে ভাল করেননি।”

আট দিন ধরে কান্দিতে বন্ধ বাস
রাস্তার কাজ শুরু হলেও বন্ধই রইল কান্দি-সাঁইথিয়া রুটের বাস চলাচল। সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সদস্য ষষ্ঠীচরণ মণ্ডল বলেন, “রাস্তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত বাস বন্ধই থাকবে।” কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের প্রায় ৪২ কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সেটি সংস্কারের দাবিতে গত ১২ জুলাই বীরভূমের সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতি বাস চলাচল বন্ধ রাখে। তারপর থেকে টানা আট দিন ধরে ওই রুটে কয়েকটি সরকারি বাস ছাড়া অন্য কোনও বেসরকারি বাস চলছে না। ফলে নাজেহাল হচ্ছেন দু’জেলার বাসিন্দারা। ষষ্ঠীবাবু বলেন, “বাধ্য হয়েই বাস বন্ধ করেছি। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঠিকই। রাস্তা মেরামত হলেই বাস চালু হবে।” বাস মালিকেরা আন্দোলন শুরু করতেই নড়েচড়ে বসে পূর্ত দফতর। শুরু হয় রাস্তা সংস্কারের কাজ।

বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। নাম আফাজউদ্দিন আনসারি (৬০)। বাড়ি ডোমকলের কুপিলা গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে ডোমকল জমি রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথামিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে পারিবারিক গণ্ডগোল চলছিল। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন আফাজউদ্দিন। রায়পুর পঞ্চায়েতের প্রধান জান মহম্মদ মণ্ডল বলেন, “ছেলেরা তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জমি বিক্রি করে দিয়েছিল। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত
একটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। ধৃত ব্যাক্তির নাম উত্তম প্রামাণিক। বাড়ি মুরুটিয়ার কেচুয়াডাঙা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার পাওয়া গিয়েছে। পেশায় ভ্যানচালক। এর প্রতিবাদে এলাকার ভ্যানচালকেরা এ দিন কিছুক্ষণ শিকারপুর-করিমপুর পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। ধৃতকে বুধবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জুনিয়র লিগ
করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় জুনিয়র ফুটবল লিগে মঙ্গলবার রেগুলেটেড মার্কেটের মাঠে কেচুয়াডাঙা ক্লাব ২-০ গোলে কুমরি নেতাজি সংঘকে পরাজিত করেছে। ওই দিনে মহিষবাথান মাঠে শিশা নেতাজি ক্লাব এবং পিপুলখোলা ইয়ুথ ইউনিয়ন ক্লাবের খেলায় গোল হয়নি। যমশেরপুর মাঠে সেনপাড়া পল্লিশ্রী সংঘ ৪-১ গোলে মুরুটিয়া জগন্নাথ ক্লাবকে পরাজিত করে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার রাতে নদিয়ার রানাঘাটের কোর্ট মোড়ের কাছে সুতীর্থ দে (৩৭) নামে ওই যুবককে ধাক্কা দেয় একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রানাঘাটের সড়কপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক।
Previous Story Murshidabad Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.