|
|
|
|
নানুরের গ্রামে বোমা উদ্ধার, আটক দুই সিপিএম সমর্থক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
অভিযান চালিয়ে নানুরের পালুন্দি গ্রাম থেকে ৭২৬টি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এগুলির মধ্যে স্থানীয় এক সিপিএম নেতার বাড়ি লাগোয়া জলাশয়ের পাড় থেকে ২৬টি সকেট বোমা ও দুশোরও বেশি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকার দুই সিপিএম সমর্থককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
নানুর ব্লকের থুপসড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পালুন্দি গ্রামটি বরাবরই সিপিএম প্রভাবিত। ওই গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়েছে। দু’পক্ষের বোমা-গুলির লড়াইয়ে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তবে এ বার বিধানসভা ভোটে নানুর কেন্দ্রটি তৃণমূল দখল করায় পালুন্দিতে তারা ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। সম্প্রতি পালুন্দি বাসস্ট্যান্ডে দলীয় কার্যালয়ও চালু করেছে তৃণমূল। |
|
পালুন্দিতে চলছে বোমা উদ্ধার। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ বোলপুরের এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতোর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই গ্রামে অভিযান চালায়। প্রথমে তারা সিপিএমের খুজুটিপাড়া লোকাল কমিটি এবং থুপসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জয়নাল শেখের বাড়ি লাগোয়া একটি ডোবার পাড়ের ঝোপ থেকে সকেট বোমাগুলি উদ্ধার করে। প্লাস্টিকের ড্রামে আরও দুশোটি বোমা রাখা ছিল সেখানে। পরে আরও দু’টি ঝোপ থেকে প্রায় ৫০০ বোমা উদ্ধার হয়। বোমা মজুত রাখার অভিযোগে দুই সিপিএম সমর্থককে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা। নানুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষের অভিযোগ, “এই গ্রামে আমাদের প্রভাব বাড়ছে। অনেক সিপিএম কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। সন্ত্রাস করে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার উদ্দেশ্যে সিপিএম-ই এত বোমা মজুত করেছিল।”
অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “পুরোটাই তৃণমূলের সাজানো নাটক। আসলে ওরাই গ্রাম দখল এবং ওদের দলের লোকেদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” এসডিপিও জানিয়েছেন, দু’জনকে আপাতত আটক করা হয়েছে। কারা কী কারণে এত বোমা মজুত করেছিল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। |
|
|
|
|
|