আমাদের চিঠি

ঈশ্বর গুপ্তের বাস্তুভিটা অনাদৃত
ঈশ্বর গুপ্তের বাস্তুভিটায় স্মৃতিফলক।
বিস্মৃতির গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে নদিয়া জেলার কাঁচরাপাড়ায় অবস্থিত যুগসন্ধির কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের বাস্তুভিটা। ১২১৮ বঙ্গাব্দের ২৫ ফাল্গুন কবি এখানে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে কবিত্বশক্তির উন্মেষ ঘটে। পরবর্তী কালে স্বশিক্ষিত কবি ঈশ্বর গুপ্ত জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সংস্পর্শে আসেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বিশেষ স্নেহ করতেন। ঈশ্বর গুপ্ত ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার পাতায় রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্রের মতো প্রতিভাবান ব্যক্তি আত্মপ্রকাশ করেন। ঈশ্বর গুপ্ত বাল্যাবস্থায় মা’কে হারান; বিবাহিত জীবনও সুখের হয়নি। তাই কবির মধ্যে ব্যঙ্গরসের স্ফুরণ ঘটে। রঙ্গ-ব্যঙ্গে তির্যকতার জন্য কবির অনেক পংক্তি প্রবাদ বাক্যের মহিমা অর্জন করেছে, যেমন ‘রাতে মশা দিনে মাছি এই নিয়ে কলকাতায় আছি,’ ‘শয্যায় ভার্যার প্রায় ছারপোকা ওঠে গায়’, ‘ধর্মতলা ধর্মহীন গো-হত্যার ধাম’, ‘এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’ ইত্যাদি।
দুঃখের বিষয়, এমন জনবল্লভ কবির বাস্তুভিটার স্মৃতির অবশেষ বলতে আজ আর কিছু নেই। বাস্তুভিটার স্থলে কবির জন্ম-মৃত্যুর সাল-তারিখ ও কবি-প্রশস্তি সংবলিত একটি স্মৃতি-ফলক স্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে স্থানটি ‘ভারতীয় পশু চিকিৎসা অনুসন্ধান সংস্থান’-এর অন্তর্ভুক্ত। তবে সমগ্র স্থলটি আগাছায় এমন ভাবে আচ্ছন্ন যে, টিনের আচ্ছাদনের নীচে কবির স্মৃতিফলকের কাছে পৌঁছনো দুষ্কর। কল্যাণীতে কবির নামে পাঠাগার, ব্যবসায়ী সমিতি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য মঞ্চ আছে। এ সব ইতিবাচক, সদর্থক দিক। কিন্তু কবির জন্মভিটা পড়ে আছে অনাদরে, অবহেলায়, ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে।
নম্বরহীন ‘ভ্যানো’
মানুষের কায়িক পরিশ্রম দ্বারা চালিত সাইকেল রিকশা বা ভ্যান রিকশার জন্য পুরসভা বা পঞ্চায়েত থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয় এবং পুরসভা বা পঞ্চায়েত প্রদত্ত নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা তাতে লাগাতে হয়। সিঙ্গুরে ন্যানো মোটরগাড়ির কারখানা তৈরি হওয়ার সময় থেকে সম্ভবত যন্ত্রচালিত (পাম্পমেশিন বা মোটরবাইকের ইঞ্জিন দ্বারা প্রস্তুত) ভ্যান যা ভ্যানো নামে পরিচিত, তার প্রচলন হয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার, যন্ত্রচালিত হওয়া সত্ত্বেও এর কোনও অনুমতিপত্র বা সংখ্যা নেই (উল্লেখ্য, গুজরাতের রাস্তায় সংখ্যা-সহ এই যান দেখা যায়)। অনুমতিপত্র ও সংখ্যা থাকার সুবিধা হল, এই যান চুরি হলে বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে এই সংখ্যার ভিত্তিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা যায়। এর পর হয়তো দেখা যাবে, সাইকেলরিকশা/ভ্যানচালকেরা দাবি তুলছে ‘আমাদেরও রিকশা/ভ্যানের লাইসেন্স তুলে দিতে হবে’। জানি না, কোন অজানা কারণে বিগত বামফ্রন্ট সরকার এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য মা-মাটি-মানুষের সরকারের কাছে এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফুটপাথ বেহাল
হুগলি জেলার চন্দননগর ফরাসিদের ঐতিহ্যমণ্ডিত জায়গা। বর্তমান সরকার এই চন্দননগরকে পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। কিন্তু চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের বিচুলিপট্টির মোড় থেকে সরিষাপাড়ার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারের ফুটপাথ স্থায়ী দোকানদার এবং হকাররা যে ভাবে দখল করেছে, তাতে সেটি পুরোপুরি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে রাস্তায় বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা। পুরপ্রধান এ ব্যাপারে নজর দিলে ভাল হয়।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
Previous Item South Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.