মন্ত্রী এবং সচিবদের নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত পলাশ মণ্ডল এবং তার সঙ্গী নারায়ণ মণ্ডলকে রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য ধৃতদের দশ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী বিজয়কৃষ্ণ মজুমদার জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ১২০বি ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পলাশের কাছ থেকে একাধিক সিমকার্ড মিলেছে। এ দিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র। তাঁর কথায়, “পলাশ বড় কোনও প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। নদিয়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলায় এরা কাজ করছে বলে অনুমান।” এসপি জানান, প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা জালিয়াতি করেছে পলাশ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় মরিয়া হয়ে ওঠে সে। ফলে তার উপর নজর রাখতে সুবিধা হয় পুলিশের।
|
সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে জওয়ানদের। তার ফাঁকেও চলছে পাচার। বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে রীতিমতো কাঁটাতার কেটে চলে পাচার। তা নিয়ন্ত্রণে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর সীমান্তের জওয়ানেরা। ওই সীমান্তে সদ্য তৈরি হওয়া প্রায় চার কিলোমিটারের ওই বেড়ায় কয়েক হাত দূরত্বে ঝোলানো হয়েছে এক জোড়া ফাঁকা বোতল। সীমান্তে কোথাও তার কাটা হলে ফাঁকা বোতলের আওয়াজে সতর্ক হবেন জওয়ানেরা। বিএসএফের ৯১ ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট মণিশশঙ্কর বলেন, “এর আগেও দেশের কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং ওড়িশা সীমান্তে কাঁটাতারে বোতল ঝুলিয়ে ফল মিলেছে। তার কাটতে গেলে একটা কম্পন হয়। তাতে ওই জোড়া বোতলে ঠোকা লেগে শব্দ হয়। এতে সজাগ হয়ে যায় জওয়ানেরা।” রানিনগর সীমান্তে কয়েক মাস আগে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তা নতুন কিছু নয়। বেড়ায় আটকানো জোড়া বোতলে চোখ আটকাচ্ছে স্থানীয় মানুষের। চর এলাকার বাসিন্দা জহিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “কাঁটাতার দেখলেও বেড়ায় বোতল ঝুলতে দেখিনি আগে। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি কিছুদূর অন্তর তারে দু’টো খালি বোতল ঝুলছে।”
|
মুর্শিদাবাদ জেলা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলায় রবিবার অভ্যুদয় সংঘ ১-০ গোলে বালার্ক সংঘের কাছে হেরেছে। জয়ী দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন বালার্ক সংঘের স্ট্রাইকার মহম্মদ ইকবাল হোসেন। লিগের এ দিনের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ পরিচালনার জন্য ক্যালকাটা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএস) থেকে বাপী দে ও অনিমেষ বিশ্বাস নামে দুজন রেফারি বহরমপুরে এসেছিলেন। লিগ আয়োজক সংস্থার পক্ষে শেখর রায় বলেন, “লিগের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনার জন্য সিআরএস থেকে রেফারি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মত এদিনই প্রথম কলকাতা থেকে দুজন রেফারি এসেছিলেন ম্যাচ পরিচালনার জন্য।” এ দিন খেলা চলাকালীন মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বৃষ্টির পরে মাঠে খেলতে গিয়ে কিছুটা হলেও বল ধরতে অসুবিধা হয়েছে। অভ্যুদয় সংঘ ম্যাচ জিততে পারলে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠত। এখন ৪টি ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়ে হিন্দ ক্লাব সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বালার্ক সংঘ। তারা ৪টি ম্যাচের মধ্যে ২টিতে জয়ী হয়েছে এবং ২টো ম্যাচ ড্র করে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। অন্য দিকে সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে দুটোতে জিতেছে, ১টি ম্যাচ হেরেছে এবং ১টি ম্যাচ ড্র করে অভ্যুদয় সংঘের মোট পয়েন্ট ৭।
|
নওদা হাইস্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। রবিবার ওই নির্বাচনে ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আরএসপি, কংগ্রেস ও তৃণমূল। নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূলের সদস্যেরা অভিযোগ তোলে, কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটে কারচুপি করছে। এ নিয়ে দু’পক্ষে হাতাহাতি হয়। তৃণমূলের নওদা ব্লক সম্পাদক কিংশুক বিশ্বাস বলেন, “এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খানের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী এ দিন আমাদের নির্বাচনী তাঁবু ভেঙে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেয়। দুই কর্মী জখম হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে লিখিত ভাবে জানাব।” কংগ্রেস অবশ্য তা অস্বীকার করেছে। নওদার কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান বলেন, “বিরোধীপক্ষের অভিযোগ মিথ্যা। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এক মহিলা হঠাৎ ঢুকে পড়ার সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।” কংগ্রেস সবকটি আসনেই জিতেছে। এর আগেও অবশ্য ওই স্কুল পরিচালন সমিতিতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস।
|
শক্ত মাটির পরিবর্তে বালি ও নরম মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামতি চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ রাখল প্রশাসন। বড়ঞার পাঁচথুপি-ঘোষপাড়া এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁ দিকে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। সেচ দফতরের কান্দি মহকুমা আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “নরম মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ হচ্ছিল। তা বন্ধ করা হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে।”
|
সাহেবনগর উচ্চবিদ্যালয় পরিচালন সমিতির নির্বাচনে রবিবার বামফ্রন্ট প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে জিতেছেন তাঁরা। বাকি একটি দখল করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। এর আগে ওই স্কুলে ক্ষমতায় ছিল জোট। |