|
|
|
|
হেলমেটহীন বাইক-আরোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
বেআইনি অটোরিকশার পরে এ বার হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার থেকে অভিযান শুরু করতে চলেছে হাওড়া জেলা পুলিশ। প্রথম পর্বে, এই অভিযান মুম্বই রোড-সহ উলুবেড়িয়া মহকুমার বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হচ্ছে। পরবর্তীতে জেলার অন্য এলাকাগুলিতেও একই ভাবে অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব বাইক সম্প্রতি দুর্ঘটনায় পড়েছে, দেখা গিয়েছে সেই সব বাইকের অধিকাংশ আরোহীই হেলমেট পরেন না। কয়েক দিন আগে উলুবেড়িয়ার নিমদিঘির কাছে বাইক আরোহী এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলের মৃত্যু হয় লরির ধাক্কায়।
দু’জনেই মাথায় চোট পান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছে, দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল না। তা থাকলে তাঁরা বেঁচেও যেতে পারতেন বলে পুলিশের অনুমান। মূলত, ওই ঘটনার পরই পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, এ বার হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা বলতে মূলত, জরিমানা করা হবে বাইক-চালকদের। বাইকটি বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। |
 |
নিজস্ব চিত্র। |
এসডিপিও (উলুবেড়িয়া) তন্ময় সরকার বলেন, “বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আমরা সাফল্য পেয়েছি। এ বার মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সেই সাফল্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে।”
সম্প্রতি বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে বাগনান এবং উলুবেড়িয়ায় জোরদার অভিযান চালায় পুলিশ। দু’জায়গাতেই প্রচুর বেআইনি অটো চলে। মালবাহী অটোতেও যাত্রী পরিবহণ করা হত বলে অভিযোগ। এ দিকে দিনের পর দিন দুর্ঘটনায় পড়ছে অটোগুলি। এই সব দুর্ঘটনায় হতাহতেরা বিমা-সহ কোনও সরকারি ক্ষতিপূরণ পান না। দুর্ঘটনা সামাল দিতে পুলিশকেও ব্যস্ত থাকতে হয়।
সম্প্রতি দুর্ঘটনার মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়। তার পরেই পুলিশ বাগনান এবং উলুবেড়িয়ায় বেআইনি অটো ধরতে অভিযান চালায়। দু’টি থানাই বেশ কয়েকটি বেআইনি অটো ধরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে বাকি বেআইনি অটো-চালকেরা তাঁদের অটো আর রাস্তায় বের করেননি।
বেআইনি অটো-চালকদের অভিযোগ, পুলিশি ধরপাকড়ের ফলে তাঁদের রুটি-রুজি মার খাচ্ছে। তাঁরা অসুবিধায় পড়ছেন। জেলা পরিবহণ দফতরের কাছে বার বার আবেদন করা হলেও লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। তাই বেআইনি অটো তাঁরা রাস্তায় নামাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসডিপিও (উলুবেড়িয়া) তন্ময় সরকার বলেন, “আমার কাছে কয়েক জন বেআইনি অটো-চালক এসেছিলেন। আমি তাঁদের সাফ জানিয়েছি, অভিযান বন্ধ হবে না।” তবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি সুষ্ঠু নীতি গ্রহণ করার প্রয়োজনও রয়েছে বলে এসডিপিও মনে করেন। তিনি বলেন, “নতুন নতুন রুট তৈরি করে সেই সব রুটে আরও অটোর লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। তাতে এক দিকে যেমন অটো-চালকদের রুটি-রুজি মার খাবে না, অন্য দিকে যাত্রীদেরও উপকার হবে। এটা জেলা পরিবহণ দফতর করতেই পারে।” হাওড়া জেলা পরিবহণ দফতরের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমি সদ্য এই পদে এসেছি। ইতিমধ্যেই সমস্যাটি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সকলের যাতে ভাল হয়, সে ব্যাপারে নীতি প্রণয়ন করা হবে।” |
|
|
 |
|
|