টুকরো খবর

গ্রোভার-হত্যা মামলায় হাইকোর্টে আপিল এমিলের
নীরজ গ্রোভার হত্যা মামলায় নয়া মোড়। এই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নৌ বাহিনীর প্রাক্তন অফিসার এমিল জেরোমের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আপিল করেছেন এমিলের আইনজীবী ওয়াহাব খান। ২৫ জুলাই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানি হবে। আপিলে এমিলকে নির্দোষ দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় এমিলের প্রেমিকা কন্নড় অভিনেত্রী মারিয়া সুসাইরাজকেই দায়ী করা হয়েছে। আপিলের বক্তব্য অনুযায়ি, এই খুনের ঘটনায় মারিয়ার স্বার্থই সব থেকে বেশি ছিল। তা ছাড়া তদন্তে খুনের প্রকৃত সময় জানা যায়নি। তাই গ্রোভারের মৃত্যুর পরে জেরোম মুম্বই পৌঁছেছিলেন বলে যে দাবি, তা-ও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জেরোমের তরফে এ ও অভিযোগ যে, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ নীরজের দেহের টুকরো পোড়ানোর জন্য যে প্লাস্টিকের পাত্র প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছে, তা মিথ্যে। ২০০৮ এর ৭ মে মুম্বইয়ে মারিয়ার ফ্ল্যাটে নীরজকে খুন করে তাঁর দেহ প্রায় ৩০০টি টুকরো করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলায় ১ জুলাই মুম্বইয়ের একটি আদালত এমিলকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে আদালতের মতে খুনটি পরিকল্পনা করে হয়নি। সাময়িক উত্তেজনার বশে করা হয়েছিল। তাই মাত্র দশ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পায় এমিল। মারিয়াকে শুধু প্রমাণ লোপের অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ৩ বছর জেল খাটায় মারিয়া ছাড়াও পেয়ে যায়। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

অধিগৃহীত জমি বিলি শুধু জনস্বার্থে: কোর্ট
জনস্বার্থে অধিগৃহীত জমি অন্য কোনও স্বার্থে বন্টন করা যাবে না বলে ফের সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জয়পুরের জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি নয়ডা জমি অধিগ্রহণ মামলায় এক উদ্দেশ্যে জমি অধিগ্রহণ করে তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে মায়াবতী সরকার। ১৯৬০ সালে রাজ্য বিধানসভার একটি ভবন নির্মাণ সহ জয়পুরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দুটি গ্রামের ৫৫২ বিঘে জমি অধিগ্রহণ করে রাজস্থান ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট। অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ আধিকারিক অন্য উদ্দেশ্যে ওই জমি বন্টনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৭০-এর দশকে তৎকালীন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কমলা দেবীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি অধিগৃহীত জমি অন্য উদ্দেশ্যে বন্টন করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল। বিভিন্ন আদালতে এই জমি নিয়ে মামলা শুরু হয়। ২০০০ সালে ওই জমি বন্টনকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। ২০০১ সালে আবার নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি জমি বন্টনের সুপারিশ করে। জমি বন্টন করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জমি অধিগ্রহণ আইনে অধিগ্রহণের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জমি বন্টন করতে পারেন না। তিনি কেবল উপযুক্ত ব্যক্তিদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। এই বিষয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজস্থান হাইকোর্টের উচিত ছিল শীর্ষ আদালতের রায় মেনে চলা। এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

খোঁড়াখুঁড়িতে ধ্বংস ৪ প্রাচীন বৌদ্ধ গুহা
কয়লা খাদানে খনন কার্য চালানোর সময়ে চারটি বৌদ্ধ গুহা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসবিদদের মতে, এই গুহাগুলি প্রায় ২০০০ বছরের বেশি পুরনো। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রার্থনার জন্য এগুলি তৈরি হয়েছিল। মানা গুম্ফা নামে খ্যাত এই গুহাগুলির পাশেই একটি হনুমান মন্দির ছিল। ২০০৯ সালে ডব্লিুউসিএল ওই কয়লা খাদানে কাজ শুরু করার সময়ই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের প্রতিবাদে হনুমান মন্দিরটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডব্লিুউসিএল কর্তৃপক্ষ বৌদ্ধ গুহাগুলির ঐতিহাসিক মূল্য নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখাননি বলে অভিযোগ। সাংসদ হংসরাজ আহির ও স্থানীয় বিধায়ক নানা শামকুলে এই ঘটনায় ডব্লিুউসিএল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন। তবে এই বিষয়ে ডব্লিুউসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ঘাঁটি পাক জঙ্গির
ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রায় ৪০০ পাক জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেনার ১৬ কোর কম্যান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে পি নেহরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রায় ৪২টি শিবিরে ওই জঙ্গিরা আছে। তাদের বেশির ভাগই হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ওই শিবিরগুলির পিছনে আরও ১৭৫ জন হিজবুল ও লস্কর সদস্য আছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে সেনা সূত্রে খবর, ওই জঙ্গিদের ভূমিকা মূলত সাহায্যকারীর। তিনি আরও জানান, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় অনেক বেশি ইন্টারনেট ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ব্যবহার করছে। তবে নজরদারিতে সেনাও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা কাজে লাগাচ্ছে বলে দাবি নেহরার।

৮ পর্বতারোহীর দেহ আনতে দল
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে নিখোঁজ আট পর্বতারোহীর দেহ। দেহগুলি উদ্ধারের জন্য আজ ৩০ জনের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিখোঁজ হন পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা আট পর্বতারোহী। পশ্চিমবঙ্গেরই একটি পর্বতারোহী দল ওই নিখোঁজ পর্বতারোহীদের তাঁবুর সন্ধান পায়। বাসুকিতাল এলাকায় তাঁদের দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

ফুল তুলতে গিয়ে তড়িদাহত
ফুল তুলতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু ঘটল এক ব্যক্তির। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুঙ্গেরের নবতোলিয়া মণ্ডলটোলা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পাপ্পু মণ্ডল (৪০)। আজ সকালে পাপ্পু অন্য দিনের মতোই রাস্তায় ফুল তুলতে বেরিয়েছিলেন। একটি বিদ্যুৎস্তম্ভের তলায় ফুল তোলার সময় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে কোনও ভাবে পা পড়ে যায় পাপ্পুর। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গায়েও আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাপ্পুকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ সড়ক অবরোধ করেন।

পিতা-পুত্র খুন
রোহতাস জেলার দাওয়াত গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিবাদের খুন হলেন পিতা-পুত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই নাথুনি কাহারের পরিবারের সঙ্গে মহেন্দ্র কাহারের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। তারই জেরে আজ সকালে নাথুনি কাহার সকালে মহেন্দ্র কাহারের বাড়িতে জোর করে ঢুকে তাঁকে এবং তাঁর ছেলে বিকাশ কুমারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
Previous Story Desh Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.