|
|
|
|
চার্জশিটে ফাঁসানোর হুমকি, নেতার কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ছিনতাই মামলায় চার্জশিটে নাম না দেওয়ার শর্তে তদন্তকারী অফিসার তাঁর কাছে ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ বর্ধমানের তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশের ডিজি-র কাছে তিনি লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত অফিসারের দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যা। ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। শনিবার জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ডিজি-র কাছ থেকে এখনও কোনও নির্দেশ পাইনি। তা পেলে ঘটনার তদন্ত হবে।”
গত ২৯ জানুয়ারি গুসকরায় এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময়ে তৃণমূলের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দবাবুর বাড়ির সামনে ধরা পড়েছিল তিন জন। অভিযোগ, ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার করে নেতার কাছে রাখতে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ এলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে হইচই হলে তিন ছিনতাইবাজের সঙ্গে পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ জানায়, নেতার কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁর শ্যালক রাখহরি সামন্ত। কিন্তু নিত্যানন্দবাবুর দাবি, ওই নামে কাউকে তিনি চেনেনই না। ৩১ জানুয়ারি তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পান। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন ছিনতাইবাজও জামিনে ছাড়া পায়।
কিন্তু এর পরেই তদন্তকারী অফিসার, বর্ধমান থানার এসআই আশিস চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাইতে শুরু করেন বলে নিত্যানন্দবাবুর অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় গিয়ে ডিজি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তার প্রতিলিপি জমা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছেও। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাসখানেক আগে থেকে ওই এসআই তাঁকে বারবার ফোন করে টাকা দাবি করতে থাকেন। বর্ধমান শহরে ডেকে পাঠিয়েও বারবার টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। নিত্যানন্দবাবুর অভিযোগ, “শুধু ওই অফিসারই নয়, তাঁর হয়ে কিছু দালালও টাকা চাইতে শুরু করে। শেষে আমি এক টাকাও দেব না বলায় অফিসার আমায় বলেন, ‘তা হলে আমি চার্জশিটে আপনাকে এমন ভাবে ফাঁসিয়ে দেব যে কিছুতেই সাজার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না।’ আমি ওঁকে বলি, আমার নামে চার্জশিট দিয়ে দিন। আদালতের উপর আমার বিশ্বাস আছে। আমার সাজা হবে না। উনি বলেন, ‘আমি কোনও ফাইনাল রিপোর্ট দেব না। আমার বদলি হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি ঘুরে মরবেন আদালতে।’ এর পরে আমি ওঁর নামে ডিজি-র কাছে সরাসরি অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই।”
অভিযুক্ত এসআই অবশ্য বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গত ৩০ জুন আদালতে মামলার পাঁচ অভিযুক্ত, অর্থাৎ তিন ছিতাইবাজ এবং নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পলাতক শ্যালক রাখহরি সামন্তের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছি। সম্ভবত সে কারণেই উনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” |
|
|
 |
|
|