বর্ষা এল মানেই সঙ্গে হাজারো সমস্যা। কাদা প্যাচপ্যাচ, কলকাতা নিমেষেই ভেনিস তো ছেড়েই দিন,
বাড়ির ভেতরও বহু ঝক্কি। সেই সব মোকাবিলায় থাকল কাজের ও কাছের কিছু টোটকা।
• বর্ষাকালে লোমওয়ালা পোষ্যকে নিয়ে ভারী মুশকিল হয়। এক বার বৃষ্টির জলে তার লোম বা থাবা ভিজে গেলে কিছুতেই শুকোতে চায় না। ফলে নানা ধরনের রোগ সংক্রমণ এড়ানো যায় না। তাই এরা একবার ভিজে গেলে আগে পেপার টাওয়েল জড়িয়ে এদের জলটা শুকিয়ে নিন। তার পর হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে আধভেজা লোম ঝরঝরে করে দিন।
• জানেন কি আপনার বাথটাবটি ছত্রাকদের খুব প্রিয় জায়গা? ছত্রাকের হাত থেকে একে বাঁচানোর জন্য ক্লোরিন ব্লিচের সঙ্গে সমপরিমাণ জল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার ছত্রাকের জায়গায় মিশ্রণটি স্প্রে করুন। ছত্রাক আর তৈরি হবে না।
• বর্ষাকালে আপনার ক্যামেরার লেন্স-এ ফাংগাস ধরতে পারে। তাই চামড়ার কেসে কখনও ক্যামেরা ভরে রাখবেন না। মাঝে মাঝেই ক্যামেরাটি বার করে পরিষ্কার, শুকনো কাপড়ের টুকরো দিয়ে লেন্সটা মুছে নিয়ে কোনও শুকনো জায়গায় রাখুন। ব্যাগে রাখতে হলে ব্যাগের মধ্যে সিলিকা জেল ভরে দিতে পারেন।
• বর্ষাকালে পাপোশ পরিষ্কার রাখাটা খুব দরকার। পাপোশের তলায় জল জমলেই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাক জন্মাবে। তাই রবারের পাপোশ ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝেই একে বাইরে নিয়ে গিয়ে কলের তলায় রেখে দিন, বা বড় দাঁড়ার ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে দিন। এতে যদি ময়লা না ওঠে, তা হলে কার্পেট ক্লিনার দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন।
• জামাকাপড়ের আলমারিতে এক টুকরো কর্পূর রেখে দিন। কর্পূর বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নেয়। বর্ষাকালে জামাকাপড়ে এক ধরনের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ পাওয়া যায়। এটা দূর করতে প্লাস্টিকের ব্যাগে কিছু লবঙ্গ ভরে আলমারিতে রেখে দিন। গন্ধ চলে যাবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.