আমরা-ওরা সমান? নৈব নৈব নৈব চ |
এ জোরে হাঁচে, ও জোকস বোঝে না। এ চোখ পিটপিট করে বেশি, তো ও ডিভোর্স। সবই মায়া।
আর ‘বিজ্ঞানসম্মত’ সমীক্ষার ফল। আসলে Survey Sells. আপনিও হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তো?
|
মাথা ব্যথা |
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সার্ভে’র ফল মহিলাদের বেশি মাইগ্রেন হয়। পুরুষদের চেয়ে তিন গুণ বেশি। কেন বলুন তো? মহিলাদের এই এত মাথাব্যথার কারণ কী? পুরুষ জাতি? অন্য আর এক গবেষণা দরকার এটা বোঝার জন্য বোধহয়। তবে অন্য এক গবেষণা করে জানা গিয়েছে যে মহিলারা সব ব্যাপারেই খুব বেশি মাথা ঘামান আর পুরুষরা থাকেন অপেক্ষাকৃত বেশি রিল্যাক্সড। হয়তো এর সঙ্গে মাইগ্রেন-এর কোনও সম্পর্কই নেই, তা-ও... |
|
ভাইরাস ধরবে |
স্প্যামফো সংস্থা সার্ভে করে জানিয়েছে যে, পুরুষদের কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয় বেশি। হিসেব মহিলাদের কম্পিউটার আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে ২১% বেশি। আবার ওই একই সার্ভে দেখিয়েছে, পুরুষরা অনলাইন (মানে ইন্টারনেট জগতে) জালিয়াতির খপ্পরেও পড়েন মহিলাদের চেয়ে অনেক বেশি। এক জন মহিলা বছরে তিন বার এই ভাবে ঠকলে, পুরুষরা অন্তত ৭-৮ বার তো ঠকছেনই। এ বার মনে দুটো প্রশ্ন উদয় হচ্ছে
১) শোনা যায় পুরুষরা নাকি মহিলাদের থেকে টেকনোলজি’র ময়দানে অনেক এগিয়ে? তা হলে সার্ভে এই রেজাল্ট দেখাচ্ছে কেন?
২) পুরুষদের কম্পিউটার আক্রান্ত করে যে সব ভাইরাস, তাদের জেন্ডার কী?
|
চোখে বালি? |
মহিলারা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি চোখ পিটপিট করেন। প্রায় দু’গুণ। কেন? নানা মুনির নানা মত আছে। প্যাথলজিকাল, সাইকলজিকাল। কয়েক জন এমনও মনে করেন, মহিলারা যা দেখেন, সবেতেই প্রচণ্ড অবাক হন। সহজে কিছুই বিশ্বাসও করতে পারেন না, তাই এত চোখ পিটপিট। উল্টো দিকে পুরুষরা নাকি এতটাই ‘বিন্দাস’ যে পৃথিবীর খুঁটিনাটি অনেক ক্ষেত্রে রেজিস্টারই করে না।
|
|
প্রেমকুমার |
পুরুষরা নাকি প্রেমের ব্যাপারে ডাহা আনাড়ি? কে বলে? পরিসংখ্যান তো ভিন্ন কথা বলে। একটি সার্ভে অনুযায়ী পুরুষরা খুব সহজেই প্রেমে পড়েন। চতুর্থ ডেট-এর মধ্যেই ২০% পুরুষ বুঝে যান, প্রেমে পড়েছেন। এই ফিল্ডে মহিলাদের স্কোর ১৫%। আর খান কুড়ি বার দেখা করার পরেও ৪৩% মহিলা বুঝে উঠতে পারেন না, তাঁরা প্রেমে পড়লেন কি না। পুরুষরা নাকি প্রেম করার আগে মহিলাদের সামাজিক অবস্থান, কত মাইনেপত্তর ইত্যাদি নিয়ে মোটেই ভাবিত নন, কিন্তু মহিলারা এ নিয়ে খুবই ভাবেন! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিজ্ঞানী আমেরিকার বস্টন শহরে ২৩১টি দম্পতির ওপর পরীক্ষা করে দেখেছেন, ক’জন বিচ্ছেদের পথে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষরাই শেষ অবধি বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন।
|
|
বিয়ের ও পারে কে? |
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আর একটা সার্ভে। এটি মুদ্রার ও পিঠ। জন হলপার ৪১০০ জন পুরুষের ওপর একটি সার্ভে করে দেখেছেন যে, যে সব পুরুষ পরকীয়া করেছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩% বিয়ে ভেঙে সেই মহিলাকেই বিয়ে করেছেন, যার সঙ্গে এত দিন গোপনে প্রেম চালাচ্ছিলেন।
|
মিরর ইমেজ |
পরিসংখ্যান বলছে মহিলারা গড়ে তাঁদের জীবনের ২ বছর আয়নায় নিজেদের দেখে কাটিয়ে দেন। আর সে জায়গায় পুরুষরা ব্যয় করেন জীবনের ৬ মাস। তার মানে কিন্তু এই নয় যে পুরুষরা আয়নার সামনে দাঁড়ান না। দাঁড়ান, কিন্তু মহিলাদের মতো অত সময় ধরে দাঁড়ান না। ব্যস।
|
বন্ধু তোমায় (আনহ্যাপি) |
পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে ফেসবুক-এর মতো সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোয় পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই ভিড় জমান বেশি। পুরুষরা ৬৯.৭% হলে, মহিলারা ৭৫.৮%। শুধু ভিড় জমানোই নয়, মহিলারা গড়ে ৩০% বেশি সময়ও ব্যয় করেন এখানে। আবার সেই জন্যেই হয়তো নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডদের নিয়ে একটা না একটা কমপ্লেন থেকেই যায় মহিলাদের। সার্ভে করা ৮৩% মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁদের মহিলা বন্ধুরা অযথা এটা-ওটা-সেটা নিয়ে এই সব ফোরামে হল্লা করতে থাকেন। আর পুরুষরা? তাঁরা এত কিছু ভাবেনই না, মন যে সর্বক্ষণ এ-পার ও-পার অস্থির!
|
|
বন্ধু তোমায় (হ্যাপি) |
আগে জানা ছিল, এক জন মহিলার সেরা বন্ধু নাকি হিরে। তার পর জানা গেল, চকলেট দিয়ে নাকি যে কোনও মেয়েকে, যে কোনও সময়, যে কোনও মুডে বাগে আনা যায়। নিউ ইয়র্ক-এর এক বিজ্ঞাপন সংস্থা ‘সাচি অ্যান্ড সাচি ওয়েলনেস’ ১০০০ জন মহিলা’র সার্ভে করে এ বার জানাচ্ছে যে, প্রতি সপ্তাহে ফ্রি চকলেটের চেয়েও মহিলারা এখন চাইছেন প্রতি সপ্তাহে উদ্দাম যৌনতা, ৭৩% তো তাই বলছেন। কার সঙ্গে, সেটা অবশ্য সার্ভে’র বিষয় ছিল না। দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। কাহানিতে টুইস্ট এনে ৯১% মহিলা আবার বলছেন, যদি প্রত্যেক সপ্তাহ শেষে ১০০০ ডলার করে হাতে পান, তা হলে তাঁরা যৌনতাকেও বিসর্জন দিতে এক্ষুনি রাজি।
|
হাত ধো লিয়া |
শেষ পাত: টয়লেট থেকে বেরনোর আগে ৯০% মহিলা হাত ধুয়ে নেন, আর পুরুষদের এই সংখ্যা ৭৫%। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, মহিলাদের হাতে পুরুষদের তুলনায় বেশি জীবাণু থাকে। |
|