ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ১৪ জুলাই আগে থেকেই প্রতীকী ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রেখেছে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল মিনিবাসও। মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অবশেষ দাঁ শুক্রবার বলেন, “আমরা ১৪ জুলাই প্রতীকী ধর্মঘটে যাচ্ছি।” অর্থাৎ ১৪ জুলাই পথে নেমে বিপাকে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে ধর্মঘট ডাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জেরে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। আজ, শনিবার ওই সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে ধর্মঘট হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থার মালিকদের সংগঠনগুলি এ দিন মেট্রো চ্যানেলে সভা ডেকেছিল। তর্কাতর্কি, বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই সভা ভেস্তে যায়। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সব পরিবহণ সংগঠন মিলে ধর্মঘটের প্রস্তাব ওঠে সভায়। কয়েক জন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করার প্রস্তাব দেয়। তার পরেই দু’দলের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি, বচসা। ঝগড়া চলতে চলতে এক সময় প্রায় হাতাহাতি বেধে যায়। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এ দিনের সভায় ছিলেন না। তবে তাঁর অনুগামীরা এখনই ধর্মঘটে যাওয়ার প্রস্তাবে সায় দেননি।
|
মালিকের ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাজ্য বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করবে না। শিল্পকেই সেই জমি জোগাড় করে নিতে হবে। শুক্রবার রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম দফতরে বণিকসভা ও সরকারের ‘কোর-গ্রুপে’র দ্বিতীয় বৈঠকে ফের নিজেদের নীতিগত অবস্থানের কথাই শিল্প মহলকে জানিয়ে দিল রাজ্য। তবে লাল ফিতের ফাঁস এড়িয়ে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের প্রক্রিয়া আরও সরল করা বা জমি সংক্রান্ত অন্য সমস্যা সমাধানে শিল্পমহলের পাশেই থাকার আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং সে জন্য বণিকসভার কর্তা ও বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে দুটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ও এ দিন তৈরি করা হয়েছে। তারা পৃথক ভাবে ওই সব সমস্যা সমাধানের নানা প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে। আগামী সোমবার এ নিয়ে ফের তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। |