|
|
|
|
দু’দফা বৈঠক মমতার |
বনাঞ্চলের নাড়ি বুঝতে দু’দিনেই যাচ্ছেন সাত মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জঙ্গলমহলে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবারেই এই নিয়ে দু’দফায় বৈঠক করেন তিনি। একটি বৈঠকের আলোচ্য ছিল জঙ্গলমহলে উন্নয়নে গতি আনা। পরের বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, ওই অঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু করা। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ এবং ১৩ জুলাই রাজ্যের সাত মন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথম বৈঠকটি করেন পূর্ত দফতরের দুই মন্ত্রী সুব্রত বক্সী ও সুব্রত সাহা এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। সেখানে আলোচনা হয় পশ্চিমাঞ্চলের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে। পরের বৈঠকের আলোচ্য ছিল জঙ্গলমহলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম, রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জুলফিকার হাসান, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ও পুরুলিয়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারেরা সেই বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন।
এ দিনই ঠিক হয়েছে, রাজ্যের সাত মন্ত্রী আগামী সপ্তাহে জঙ্গলমহলে যাবেন। তাঁরা হলেন পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের সুকুমার হাঁসদা, যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সমবায়মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি এবং পূর্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা। ১২ এবং ১৩ জুলাই তাঁরা জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করাবেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন দরকার, তা খতিয়ে দেখে কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “আমরা ওষুধ, বেবিফুড, বাচ্চাদের জামাকাপড়, নানা রকম শুকনো খাবার নিয়ে যাচ্ছি।”
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের অধীন ‘বু্যুরো অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিকস অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স’-এর একটি দল ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলে গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে ঘরে ঘরে চাল-ডাল ইত্যাদি পৌঁছে দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার কথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। এর অন্যতম কারণ গুদামের অভাব। আর একটি কারণ বেহাল রাস্তাঘাট। এর জেরে খাদ্য সামগ্রী ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়েছে, যত দিন না যথেষ্ট সংখ্যায় গুদাম তৈরি হচ্ছে, তত দিন খাদ্যসামগ্রী মজুত ও বণ্টনের জন্য থানা, বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনকে ব্যবহার করা হবে। পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার অরুণ ভদ্র বলেন, “পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বিভিন্ন স্তরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই সব অঞ্চলে পূর্ত দফতরের যে-সব কাজ চলছে, তা দেখতে বেশ কয়েক জন ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিক দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার ওই চার জেলায় যাবেন।” |
|
|
|
|
|