|
|
|
|
কৃষ্ণনগরে বৃষ্টিতে নাজেহাল বাজার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
বৃষ্টির দিনে বাজার যেতে বললে আঁতকে ওঠেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারা। জেলা সদর শহরের নানা দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি বাজার, তার কোনওটার মালিক পুরসভা, কোনও বেসরকারি মালিকানাধীন। কিন্তু বর্ষায় গোয়াড়িবাজার, পাত্রবাজার কিংবা বেলডাঙা বাজার সহ সব বাজারের ছবিই এক রকম। কাদায় মাখামাখি, নোংরা জলে ভেসে যাওয়া বাজারের রাস্তা পেরিয়ে সব্জি থেকে মাছ-মাংস কেনা এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। নদিয়া জেলা চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সম্পাদক অক্ষয় ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু কৃষ্ণনগরই নয়, আশপাশের গঞ্জ এলাকার বাজারগুলিতেও খুব খারাপ অবস্থা। আসলে নিকাশি ব্যবস্থাই খারাপ।”
গোয়াড়ি তহ বাজারে নিয়মিত বাজার করতে যান শিবু দত্ত। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বাজারটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে মাছের বাজারে ঢুকতেই ইচ্ছা করে না।” পাত্রবাজারে নিয়মিত যান সুজয় ঘোষ। তিনি বলেন, “এত বড় একটা বাজার, কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে ক্রেতা-বিক্রিতা দুই তরফেরই অসুবিধা। মাছের বাজারটি কংক্রিটের হলেও নোংরা জমে।” |
|
আবর্জনায় ভরা কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজার। নিজস্ব চিত্র। |
গোয়ারিবাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কমল মিত্র বলেন, “নিকাশি নেই বললেই চলে। ফলে বাজারে আবর্জনা কাদা মিলে এমন একটা অবস্থা, যা থেকে কারও রেহাই নেই।” চাপড়ার তহ বাজারেরও একই বেহাল দশা। মাছের আঁশ, সব্জির খোসা, জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র বেথুয়াডহরির বাজারটি বছর পাঁচেক আগে পাকা করার পরে জল আর জমে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটু টানা বৃষ্টি হলে নর্দমা উপছে পড়ে। কাদার সঙ্গে মিশে যায় বাজারের আবর্জনা। বেথুয়াডহরি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি হরিদাস দে বলেন, “শুধু বাজার চত্বরই নয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে সিনেমাহল এলাকা ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু সেখানে নিকাশি বিপর্যস্ত বলে এত কাদা হয় যে, ব্যবসা করাই কঠিন হয়ে যায়।” কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, “পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলির পরিষেবা যাতে ঠিকঠাক থাকে, তার জন্য আমরা নজর রাখি। বাজারগুলি এমন ভাবে তৈরি যে, সেখানে বেশি জল জমতে পারে না। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন বাজারগুলির ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।” তবে তাঁর কথায়, “মালিকেরা না বললেও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা ওই বাজারগুলিতে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি।” |
|
|
|
|
|