|
|
|
|
জেলা লিগে ৯টি দলই বহরমপুরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
নামেই মুর্শিদাবাদ জেলা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ! আসলে বলা ভাল বহরপুর লিগ। কারণ তথাকথিত এই জেলা লিগের ১০টি ফুটবল দলের মধ্যে কেবল একটি দলই বহরমপুর শহরের বাইরের। সেই টিমটিও ফের বহরমপুর শহর লাগোয়া লালবাগের ‘মুর্শিদাবাদ তরুণ সমিতি’। নামে জেলা লিগ হলেও ‘মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (এমডিএসএ) পরিচালিত লিগের ফুটবল খেলার ওই হাল কেন? এমডিএসএ-র অন্যতম কর্তা তরুণ দত্ত বলেন, “ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য রাজ্য সরকার এম ডি এস এ-কে বছরে এক লক্ষ টাকা দেয়। ওই টাকা থেকেই জুনিয়ার ডিভিশন ও সিনিয়র ডিভিশনের প্রতিযোগিতা করতে হয়। প্রতিযোগী দলগুলিকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বণ্টন করে দিতেই ওই টাকা শেষ হয়ে যায়। অথচ একটি ফুটবল টিম গড়তে বছরে কম পক্ষে এক লক্ষ টাকা খরচ আছে। আর্থিক কারণেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেলা লিগে বিভিন্ন ফুটবল টিম অংশগ্রহণ করতে পারে না।” |
|
ব্যারাক স্কোয়ারে অনুশীলন। নিজস্ব চিত্র। |
তবে এ বার মুর্শিদাবাদ জেলা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে আরও দু’টি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে নাম লিখিয়ে ছিল। এম ডি এস এ-র ফুটবল বিভাগের সচিব অনিত সেনগুপ্ত বলেন, “লালবাগের বান্ধব সমিতি ও আজিমগঞ্জের ওয়াই এম এ এবারের মুর্শিদাবাদ জেলা সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে খেলবে বলে নাম লেখায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই দু’টি দল এবার খেলতে পারছে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে এ বার জেলা ফুটবল লিগে মোট অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টি। তার মধ্যে রয়েছে গত বছরের রানার্স টিম লালবাগের ‘মুর্শিদাবাদ তরুন সমিতি’। এ ছাড়া বাকি ৯টি টিমই বহরমপুর শহরের। তবে এ বারের খেলার উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বহরমপুরের ব্রজভূষণ স্মৃতি সমিতি (বি বি এস এস)-র অংশগ্রহণ। কারণ, এক সময় জেলা ও জেলার বাইরের কৃতিত্বের সঙ্গে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো ব্রজভূষণ স্মৃতি সমিতি প্রায় আড়াই দশক পর ফুটবল টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে।”
গত ২৫ জুন এ বছরের জেলা লিগের খেলা শুরু হয় বহরমপুর শহরের ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন (এফ ইউ সি) মাঠে। ইতিমধ্যেই সব টিমের অন্তত একটি করে খেলা হয়ে গিয়েছে। দু’টি করে খেলায় অংশগ্রহণ করে হিন্দ ক্লাব ও অভ্যুদয় সংঘ কোনও খেলায় না হেরে ৬ পয়েন্ট করে অর্জন করেছে। তার মধ্যে আবার অভ্যুদয় সংঘ গত বছরের চাম্পিয়ন দল। তবে গত বছরের রানার্স লালবাগের ‘মুর্শিদাবাদ তরুণ সমিতি’ এ বার এখন পর্যন্ত ৩টি খেলায় অংশগ্রহণ করে একটি জিতেছে, একটি ড্র করেছে ও একটিতে হেরেছে। ওই দল এখন পর্যন্ত মোট ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। ১০টি টিমের প্রতিটি টিম ৯টি করে খেলায় অংশগ্রহণ করবে। একথা জানান এমডিএসএ-র ফুটবল বিভাগের সচিব অনিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “সব দল মিলিয়ে মোট ৪৫টি খেলা হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল খেলা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।”
তবে এ বার অন্য বারের মতো এম ডি এস এ-র স্টেডিয়ামে না হয়ে ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন (এফ ইউ সি) মাঠে জেলা ফুটবল লিগের খেলা হচ্ছে কেন? এম ডি এস এ-র ফুটবল বিভাগের সচিব বলেন, “পুলিশ ও সেনা বাহিনীতে নিয়োগের জন্য স্টেডিয়ামে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার ফলে বাধ্য হয়েই ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের মাঠে জেলা ফুটবল লিগের খেলা খেলতে হচ্ছে। তার জন্য কিন্তু দর্শকের সংখ্যায় খামতি নেই।” এ দিকে গত ২৩ জুন অনূর্ধ্ব সতেরোর জেলা ফুটবল লিগের ফাইনাল খেলায় ২২ পয়েন্ট পেয়ে চাম্পিয়ান হয়েছে ‘মুর্শিদাবাদ তরুণ সমিতি’ এবং ২০ পয়েন্ট পেয়ে রানার্স হয়েছে বহরমপুরের ‘শিবাজি অ্যাথলেটিক ক্লাব’। |
|
|
|
|
|