|
|
|
|
আবার ধস সামলে দিচ্ছেন সেই লক্ষ্মণ |
সংবাদসংস্থা • রসো, ডমিনিকা |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০৪
ভারত: ২৪৯-৫ (তৃতীয় দিন চা বিরতির একঘণ্টা পর) |
যথারীতি ভারতের পরিত্রাতা সেই ভিভিএস লক্ষ্মণ। দশ ওভারের মধ্যে মুরলী বিজয় (৫) এবং রাহুল দ্রাবিড় (৫) প্যাভিলিয়নে। ভারত ১৮-২ অবস্থায় মহাসঙ্কটে। বরাবর এমন মঞ্চই তো নিজের সেরাটুকু বের করার জন্য বেছে নিয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সীমার মধ্যে থেকেও সীমাকে অতিক্রম করে যাওয়ার ধ্রুপদী ব্যাটিং তো এই সময়ই তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশিত। হলও তাই। দ্বিতীয় টেস্টের মতো এখানেও অনভিজ্ঞ অভিনব মুকুন্দকে সঙ্গী করে ভারতকে প্রাথমিক ঝটকাটা সামলেছিলেন লক্ষ্মণ। তাঁর উইকেট মানেই প্রত্যাশিত ধস, এই ভাবনায় শিলমোহর লাগানোর স্বপ্ন যখন সামিরা দেখছেন, তখনই প্রাচীরস্বরূপ আর্বিভূত লক্ষ্মণ। লাঞ্চে ভারত ভদ্রস্থ জায়গায় (১০২-২) ছিল। ইংল্যান্ড সফরে সুযোগ পাওয়া উদযাপন করতেই যেন অভিনব মুকুন্দ করে দিলেন জীবনের প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি (৬২)। লাঞ্চের পরে লেগস্পিনার বিশুর বলে মকুন্দ ফিরলেও বিরাট কোহলির (ব্যাটিং ২৫) সঙ্গে উল্টোদিকে লক্ষ্মণ (ব্যাটিং ৪৭)। যত সময় যাচ্ছে, তত তাঁকে দুর্ভেদ্য দেখাচ্ছে। |
|
দ্রাবিড় বোল্ড। শুক্রবার উইন্ডসর পার্কে।-এএফপি |
বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে ফলাফল হতে গেলে প্রকৃতির আর বিরূপ হওয়া চলবে না। সিরিজ ১-১ করতে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতেই নিতে হত পর পর উইকেট। কিন্তু ভাগ্য অন্য দিকে গেলে যা হয়! এক নম্বর স্ট্রাইক বোলার রবি রামপল পেটের গণ্ডগোলে অসুস্থ। ক্রমাগত বমি করতে থাকায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। একটা ওভারও করতে পারেননি। টেস্ট ম্যাচে তিন পেসারের একজন কমে গেলে যে কোনও ক্যাপ্টেনের মাথায় বাজ পড়ার কথা। সামি নিজে কী করতে পারতেন? যেটুকু পারতেন, করেছেন। ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “দ্রাবিড়কে আউট করার রহস্য জানা আছে।” আগের টেস্টে দু’বার, এখানে আবার। অফস্টাম্পের উপরে পড়া বলটা বাইরে যাবে ভেবে খেলেছিলেন দ্রাবিড়। উল্টে বল ঢুকে এল ভেতরের দিকে। ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে প্রায় মাইলখানেক ফাঁক। বোল্ড তো বটেই, স্টাম্প উড়ল, একটা বেল ভেঙে গেল!
দুঃস্বপ্নের সিরিজ গেল মুরলী বিজয়ের। আজও এডওয়ার্ডসের বলে স্কুলছাত্রের মতো কট বিহাইন্ড হলেন। এখন ভারতীয় ক্রিকেটে যা রিজার্ভ বেঞ্চ, টানা তিনটে টেস্টে সুযোগ কারও পাওয়ার কথা নয়। গম্ভীর-সহবাগ না থাকায় যে সুযোগ বিজয়ের সামনে এসেছিল, তা হেলায় হারালেন তামিলনাড়ু ওপেনার। টনি গ্রেগের মতো ব্যক্তিত্ব বলছিলেন, “আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। টেস্টের আঙিনায় ওকে বেমানান লাগছে।” |
|
|
|
|
|