জঙ্গলমহলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাকেজ ঘোষণার দিনেই নয়াগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর দলের এক স্থানীয় নেতার বাড়িতে হামলা হল। বৃহস্পতিবার রাতে বড়খাঁকড়ি অঞ্চলের থুরিয়া গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু পাত্রের বাড়িতে ৭০-৮০ জনের সশস্ত্র দল চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। অর্ধেন্দুবাবু ও তাঁর ভাই তৃণমূলের ব্লক সদস্য সুখেন্দু পাত্র বাড়িতে ছিলেন না। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, জনগণের কমিটির নাম করে সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার অর্ধেন্দুবাবু বলেন, “মুলুকচাঁদ পানি, সভাচাঁদ পানি, পরিমল কাপড়ির মতো স্থানীয় কয়েক জনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।” যাঁদের নাম অর্ধেন্দুবাবু করেছেন, তাঁরা এলাকায় কমিটির কর্মী হিসাবেই পরিচিত। এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) রশিদ মুনির খাঁনও বলেন, “জনগণের কমিটির লোকজনই হামলা চালিয়েছে। ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিপিএমের কেউ যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূল নেতার বাড়ি ও আসবাব ভেঙে তছনছ করে। অর্ধেন্দুবাবুর বাবা মনোরঞ্জন পাত্রের রেশন দোকানে হামলা চালিয়ে জিনিসপত্রে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয়। মনোরঞ্জনবাবু ও অর্ধেন্দুবাবুর ছেলে মিঠুন-সহ কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক প্রহৃত হয়। কয়েক জনকে বেঁধেও রাখা হয়। জখম মিঠুন-সহ ৩ জনকে খড়িকামাথানি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করাতে হয়েছে।অর্ধেন্দুবাবুর অভিযোগ, আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও সোনাদানাও লুঠ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আবার থুরিয়ায় কমিটি-সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন পাল্টা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে চুক্তি-ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে জনগণের কমিটির বিরোধ বাধে। কমিটির সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের সেই বিরোধের জেরেই অর্ধেন্দুবাবুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নয়াগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক দুলাল মুর্মু বলেন, “হামলাকারীরা কিছু আগে পর্যন্ত সিপিএম করত বলেই জেনেছি।” অন্য দিকে, সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক হিমাংশু ত্রিপাঠি বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের দলীয় নেতা, কর্মী-সমর্থকরা বহুদিনই ঘরছাড়া।”
|
জঙ্গলমহল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোর দিলেন তৃণমূলের রাজ্য যুব সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মনে রাখবেন, আমরা কিছুতেই তা হতে দেব না।” সভায় উপস্থিত পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখন পুলিশ আমাদের কথা শুনবে। প্রশাসন আমাদের কথা শুনবে। তাই আগের পরিস্থিতি আর ঘটতে দেব না।” গত মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় উৎসব নিষিদ্ধ করেছিল তৃণমূল। আগামী ২১ জুলাই ব্রিগেডে বিজয় উৎসব হবে। তারই প্রস্তুতিসভা হল এ দিন। শুধু শহরে নয়, জেলার প্রতিটি ব্লকে পদযাত্রা, পথসভা করার কথাও জানান শুভেন্দু। পাশাপাশি নিজেদের দায়িত্বের কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি। শুভেন্দু বলেন, “জঙ্গলমহলে ক্রমাগত প্রচার চলবে। শান্তি স্থাপনের জন্য নানা দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হবে।
|
সম্প্রতি রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যার আয়োজন হয়েছিল খড়্গপুর শহরের রেলওয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের সভাগৃহে। উদ্যোক্তা খড়্গপুর উৎসব কমিটি। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। প্রধান অতিথি ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী স্বরাজ রায়। উপস্থিত ছিলেন নন্দদুলাল রায়চৌধুরী, তপন পাল, ইন্দ্রনীল কুলাভি প্রমুখ।
|
ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ট্রেন লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। মৃত সত্যনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৩১) বাড়ি দাঁতনের ভবানীপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে দাঁতন ও নেকুড়শুনি স্টেশনের মাঝে তিনি ঝাঁপ দেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মৃতের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। খড়্গপুর জিআরপি-র আধিকারিক আশিস রায় জানান, দেনা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথা লেখা রয়েছে ওই সুইসাইড নোটে।
|
এ বছরের উচ্চ-মাধ্যমিক ও আইসিএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য সম্প্রতি খড়্গপুর শহরের যফলায় দুই কৃতী পড়ুয়া অরিজিৎ ঘোষ ও সোনালী শাসমলকে সংবর্ধনা জানাল ‘অবসর’ সংস্থা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্পদ কুণ্ডু। |