|
|
|
|
সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
সিপিএমের জোনাল কমিটির এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের তেলিগ্রামে। শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করলেও প্রহৃত নেতা রবীন্দ্রনাথ কোলে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবীন্দ্রনাথবাবু আগে ছিলেন গোঘাটের কুমুড়শা পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ তৃণমূলের এক দল লোক তাঁকে আরামবাগের কালীপুরে তাঁর ব্যবসা কেন্দ্র থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে তেলিগ্রামে। সেখানে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ও পরে গ্রামের শিবমন্দিরের আটচালায় নিয়ে গিয়ে লাঠিপেটা করা হয়। থামে মাথা ঠুকে দেওয়া হয়। অভিযোগ, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপরে। তারপরে বছর পঞ্চান্নর ওই সিপিএম নেতাকে ফের গাড়িতে তুলে ছেড়ে আসা হয় কালীপুরে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
অন্য একটি সূত্রে খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ যোগাযোগ করেছিল রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে। তিনি সে সময়ে জানিয়ে দেন, তাঁকে মারধর করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার আরামবাগ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে প্রহৃত সিপিএম নেতা বলেন, “ওদের বক্তব্য ছিল, কোথায় আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে। আমি বলি, কোথাও কিছু নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ওরা আরও বলে, প্রধান থাকাকালীন আমি নাকি নানা দুর্নীতি করেছি। সে কথাও লিখিত ভাবে জানাতে হবে।” রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে তিনি সাদা কাগজে লিখে দেন, প্রধান থাকাকালীন দুর্নীতি না করলেও পরে কোনও দুর্নীতি ঘটে থাকলে, সেই দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। থানায় অভিযোগ করলে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন ওই সিপিএম নেতা। যদিও তিনি বলেন, “আমি একটু সুস্থ হয়ে অভিযোগ করতে চাই।” প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক-সহ তিরিশ জনের নামে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে চান বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভয় কুণ্ডু বলেন, “প্রধান থাকাকালীন গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া-সহ নানা দুর্নীতি করেন ওই সিপিএম নেতা। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। মারা হয়নি।” অভয়বাবুর পাল্টা দাবি, কিছু দিন আগে রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই অস্ত্রই বের করে দিতে বলা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|