|
|
|
|
চার বছরে ৭,০০০ কোটি টাকা ছোঁবে অনলাইন বিপণন, সমীক্ষা |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
কেনাকাটার অভ্যাস দ্রুত পাল্টাচ্ছে ভারতে। দোকানে গিয়ে পাঁচটা জিনিস দেখে দরাদরি করে কেনার সাবেকি প্রথায় ঢুকে পড়ছে ‘ইন্টারনেট’ প্রযুক্তি। যেখানে স্রেফ ঘরে বসেই অনলাইন বিপণন সংস্থার ‘পোর্টালে’ ঢুকে পণ্য পছন্দ করে কিনেও ফেলা যাচ্ছে নিমেষে। আর এই প্রবণতার হাত ধরেই আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে ৭,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট মারফত খুচরো বিপণন শিল্পের। এক সমীক্ষায় এই তথ্য দিয়েছে, বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম।
দেশের প্রথম সারির কেনাকাটার পোর্টালে ক্রেতাদের আনাগোনা থেকে হিসেব মিলেছে যে, বর্তমানে অনলাইনে বিপণনের বাজার দাঁড়িয়ে ২,০০০ কোটি টাকায়। এবং তা বছরে ৩৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষা অনুযায়ী এই বাজার বাড়ার কারণ, এক দিকে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক হারে ইন্টারনেটের ব্যবহার। এবং অন্য দিকে বিশ্বে অন্যতম দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা এই অর্থনীতির মধ্যে দাঁড়িয়ে আমজনতার হাতে বাড়তি আয়।
বদলে যাওয়া জীবনযাত্রায় তরুণ প্রজন্ম নতুন প্রযুক্তিতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে যে, আগামী দু’বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার শিরোপা উঠবে ভারতের মাথায়। সেই সঙ্গে সহজলভ্য হয়েছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও। আবার দেশের আর্থিক অগ্রগতির সৌজন্যে এক শ্রেণির মানুষের হাতে বাড়তি অর্থ এসেছে। আর এই জোড়া কারণই অনলাইন কেনাকাটাকে ক্রমশ জনপ্রিয় করে তুলছে বলে জানিয়েছেন বণিকসভাটির সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত।
গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ১০টি শহরে ‘অনলাইন শপিং’ নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। সেখানে প্রায় ৫,০০০ জন বিক্রেতার সঙ্গেও কথা বলা হয়। তাদের কথা থেকে স্পষ্ট যে, বেশির ভাগ অনলাইন ক্রেতা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন পণ্যের গুণমান যাচাই করতে। কারণ সেখানে বাজারে চালু সমস্ত পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায় দামও। এমনকী তুলনায় কম দামের পণ্য তাঁরা ইন্টারনেট থেকে কেনেনও। তবে দামি পণ্য ইন্টারনেটে পছন্দ করলেও শেষে তা প্রথাগত পদ্ধতিতে কিনতে এখনও ছোটেন দোকানে। এই সাবেকি কেনাকাটার পদ্ধতিটা অবশ্য হালে বদলে যাচ্ছে বলে অভিমত রাওয়াতের। কারণ, সমীক্ষায় প্রায় ৪০ শতাংশ ক্রেতাই জানিয়েছেন, পণ্য সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করা ছাড়াও ইন্টারনেট মারফত কেনাকাটা করাও তাঁদের বেশি সুবিধাজনক মনে হয়। রাওয়াত জানান, প্রথম সারির বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও অনলাইন খুচরো বিপণন শিল্পের সম্ভাবনা আন্দাজ করে তার সুবিধা নিতে ঝাঁপাতে শুরু করেছে। |
|
|
|
|
|