|
|
|
|
সংখ্যালঘুদের ঋণে জোর দিতে নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কৃষক ও সংখ্যালঘুদের ঋণ বণ্টনে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রণববাবু আজ জানান, মোট কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যে ভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ঋণদানের লক্ষ্যমাত্রাও এখনও পূরণ করা যায়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সংখ্যালঘু উন্নয়নে যে ১৫ দফা কর্মসূচি ঠিক করেছেন, তার মধ্যেও এই অংশের মানুষের কাছে ব্যাঙ্ক ঋণ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যে সব ব্যাঙ্ক এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রণব। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, ২০০৯-১০ সালে মোট ঋণের ১৮ শতাংশ কৃষি ক্ষেত্রে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ১৪টি ব্যাঙ্ক সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। এদের মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক গত তিন বছর ধরেই নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হিসেবও বলছে, দেশের অর্ধেক কৃষক এখনও ব্যাঙ্ক পরিষেবার বাইরে। এই দিকটিতে ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের নজর দিতে বলেছেন প্রণববাবু। তবে মোট কৃষিঋণের পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “গত অর্থবর্ষে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ বণ্টন হয়েছে। এ বছর ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছি। তা ছোঁয়া যাবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।” কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও বলছেন, কৃষি-শিক্ষার মতো যে সব ক্ষেত্রে ঋণ বণ্টনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ১৫% ঋণ সংখ্যালঘুদের দিতে হবে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের খবর, অর্ধেক ব্যাঙ্ক সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। তাদেরও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রণব।
বাজেটে দু’হাজারের বেশি জনসংখ্যার সব গ্রামে ব্যাঙ্কের শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন প্রণববাবু। কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, সারে ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি গরিব মানুষের হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সে জন্যও সমস্ত গ্রামে কোনও না কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থাকা জরুরি। এই ধরনের ৭৩ হাজার গ্রাম চিহ্নিত হয়েছিল, যেখানে ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই। এর মধ্যে ২৯ হাজার ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। বাকিগুলিতেও আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|