|
|
|
|
|
|
জলসার বাইরে নীল দত্ত-র মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে এত কাটাছেঁড়া করছেন কেন?
একই গান একই রকম ভাবে গাওয়া হচ্ছে কুড়ি বছর পরেও। কেন এক হতে যাবে? সেখানে আর্টিস্ট কোথায়? রবীন্দ্রনাথের গান যে ভাবে ট্র্যাডিশনালি, হ্যাবিচুয়ালি যন্ত্রানুষঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে, সেই পরিচালনাটা আমি বদলানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
অনেকেই বলছেন, আপনি নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর-ও বিকৃত করছেন?
নীল: আমার মনে হয় না, আমি সুর বিকৃত করছি। এবং আমি সুর বিকৃত ব্যাপারটা পছন্দও করি না। আনন্দবাজারের পাঠকদের এটা পরিষ্কার করে বলা আমার কর্তব্য। সুর বা কথা কোনও ভাবেই পাল্টানো হয়নি। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু রয়েছেন সেই গানে। সিনেমা অনুযায়ী গানটা যে ভাবে করা দরকার মনে হয়, সে ভাবে করেছি। গীতবিতান খুলে বলে দিতে পারি, আমার পরিচালনায় কোনও কণ্ঠশিল্পী যখন গাইছেন, সুর বিকৃত হচ্ছে না। যাকে আমি গানটা গাওয়াচ্ছি, তার নিজস্বতাটা গানে আসছে, আমার একটা নিজস্বতা ঢুকছে। না হলে আমি কেন রবীন্দ্রনাথের গান গাইব বা শুনব বা ব্যবহার করব?
‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির সুর করার জন্য কি স্পেশাল কোনও প্রিপারেশন নিয়েছিলেন?
নীল: না। আলাদা করে কোনও প্রিপারেশন নিইনি। তবে এটা একটা স্পেশাল প্রোজেক্ট। কবীর সুমন অভিনয় করেছেন, অঞ্জন দত্তের গান ব্যবহার করা হয়েছে, অমিত দত্ত, নন্দন বাগচী এঁদের বাজনা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। তাঁরা আছেন।
এই ছবির গানের জন্য সোমলতা আচার্য চৌধুরীকে বাছলেন কেন?
নীল: ওর গলায় একটা ব্যালেন্স আছে, যেটা আশেপাশে আর কারও নেই। বাংলা উচ্চারণ খুব পরিষ্কার। এবং ওর গলায় একটা টেক্সচার আছে, যেটা ওয়েস্টার্নাইজড এবং সফিস্টিকেটেড আধুনিক সাবেকি বাঙালি গলা। রঞ্জনা ফিমেল রক স্টারের এই কোয়ালিটিটা আছে, যেটা সোমলতারও আছে।
অঞ্জন দত্তের পছন্দের সঙ্গে আপনার পছন্দের জায়গাগুলোও কি একই রকম?
নীল: অনেকটাই।
যেমন?
নীল: বিটলস, বব ডিলান, হলিউডি সিনেমা, রান্না করা, বেড়াতে যাওয়া আর বিশ্বাস।
আর মোবাইলের কলার টিউনটা?
নীল: (হা হা হা হাসি) হ্যাঁ, আমাদের এই ছবিটার গান। দু’জনেরই পছন্দ। আমাদের প্রোডিউসার এক দিন বললেন, আপনাদের পছন্দের গানটা কলার টিউন করবেন না? তখন করলাম।
ছেলেবেলা?
নীল: আমার ছেলেবেলাটা ব্যাক স্টেজে কেটেছে বলা যেতে পারে। ‘ওপেন থিয়েটার’ বলে একটা দল ছিল বাবা, মা এবং তাঁদের বন্ধুদের। বাড়িতে রিহার্সাল হত। বাবা গিটার বাজিয়ে গানও করতেন সেই নাটকগুলোতে। বাড়িতে একটা অর্গান ছিল, যেটা বাজিয়ে আমার ঠাকুমা গান গাইতেন। আমাদের একটা বিরাট রেকর্ড-এর কালেকশন আছে। আমায় গিটার শেখান আমার মা। আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। তার পর কিছু দিন কার্লটন কিটো-র কাছে ক্লাস করেছি। অমিত দত্তের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই যোগাযোগ। ক্লাস এইট থেকে প্রফেশনালি গিটার বাজাচ্ছি। ইলেভেন-টুয়েলভ থেকে জিঙ্গল করতে শুরু করি। কলেজে পড়াকালীন প্রচুর টেলিফিল্মে সুরকার হিসেবে কাজ করেছি। আশুতোষ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট, কলকাতা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি এম এ।
অঞ্জন দত্তের ছেলে বলেই আপনার এই প্রফেশনে একটু হলেও সুবিধে হয়েছে এটা মানবেন?
নীল: (একটু ভেবে) না, সুবিধে হয়নি। এই প্রফেশনটা এমনই যে, নিজেকে নিজের রাস্তা করে নিতে হয়। অঞ্জন দত্তের ছেলে বলে কয়েকটা জিনিস পেয়েছি বই, কবিতা, গান, আন্তর্জাতিক শিক্ষা, এই সব।
আপনার ফেভারিট মিউজিক ডিরেক্টর?
নীল: এনো মরিকন, নিনো রোটা, জন উইলিয়ামস, পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
সঙ্গীত পরিচালনার ক্ষেত্রে এঁদের কাউকে অনুসরণ করেন?
নীল: না। অনুসরণ করি না। তবে এঁদের কাজ দেখে প্রেরণা পাই।
কোনও স্মরণীয় ঘটনা মনে পড়ে?
নীল: প্রচুর। প্রথম ছবি ‘বং কানেকশন’ রিলিজ, যেটা আমার জীবনে প্রথম সাউন্ডট্র্যাক। আর একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে, মার্কিন গিটার বাদক বাডি গাই-এর লাইভ কনসার্ট দেখার সুযোগ হয়েছিল দু’বার।
নতুন কী কী কাজ করছেন?
নীল: অনেক ছবিতেই কাজ করছি। বিরসা দাশগুপ্তর ছবি সবে শেষ হল। মৈনাক ভৌমিকের দুটো ছবি হাতে আছে। আরও অনেক ডিরেক্টর অ্যাপ্রোচ করেছেন। আমার ব্যান্ড ‘ফ্রেন্ড অব ফিউশন’কে নিয়ে সেকেন্ড অ্যালবাম করার জন্য কাজ করছি। এ ছাড়া ‘সানন্দা’ টিভির জন্য ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ ধারাবাহিকে সুর দিচ্ছি।
কেমন মহিলা পছন্দ? কাউকে প্রোপোজ করেছেন বা কেউ আপনাকে?
নীল: (হেসে) তাকে বুদ্ধিদীপ্ত (ইন্টেলিজেন্ট) হতে হবে। দায়িত্ববান হবে। সেন্স অব হিউমারটা খুব ইমপর্ট্যান্ট। এবং একটা সেন্স অব স্পেস থাকবে। প্রোপোজ কে কাকে করেছে বলতে পারব না। তবে আমার গার্লফ্রেন্ড আছে। এ ব্যাপারে এখন আর কিছু বলা যাবে না।
গার্লফ্রেন্ডের নামটা বলবেন?
নীল: (হেসে) কিছু কথা ব্যক্তিগত থাকাই ভাল। আমি এটা মনে করি যে পাঠকরা আমায় চিনুক আমার কাজের মধ্যে দিয়ে। পারিবারিক বা পার্সোনাল লাইফটা পার্সোনালই থাকা ভাল।
ক্লাস কেটে কোনও দিন সিনেমায় যেতেন?
নীল: বহু বার। এটা ইউনিভার্সিটিতে বেশি হয়েছে। এক বার খুব মজা হয়েছিল। এক জন প্রফেসর আসেননি, অতএব ক্লাস ছুটি। কয়েক জন বন্ধু মিলে সিনেমা চলে গেলাম। ও বাবা, পরে দেখি আমাদের পাশের সিটেই বসে আছেন ওই প্রফেসর! |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
lমমতার নির্দেশে এ বার কলকাতার রাস্তায় সিগন্যাল রেড মানেই বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। ঘুচুক আপনার একঘেয়েমি, মুচকি হাসুন রবি ঠাকুর। পুরো খাপে খাপ একখানা গান দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে...!
স্নেহাংশু অধিকারী।
lট্রাফিক সিগন্যালে রবীন্দ্রগান আপামর বাঙালির হঠাৎ রবীন্দ্রপ্রীতির উদ্রেক না করলেও ৩৪ বছরের বাম শাসনের বিদায় সঙ্গীত হিসাবে বাজতে থাকবে!
সৌম্য ভট্টাচার্য। কালীঘাট
lবহুদিন ধরে পলিটব্যুরোর বৈঠকে বুদ্ধদেববাবু হাজিরা দিচ্ছেন না দেখে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এর পরের বৈঠকটা খোদ কলকাতায় হবে। মনীষীর বচনটা মনে পড়ে গেল, যদি কোনও ছাত্র ইসকুলে যেতে না পারে (বা না চায়); তবে ইসকুলটাকেই সেই ছাত্রের কাছে নিয়ে আসতে হবে!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা
lরাজ্য সরকার বিবাদীবাগ অঞ্চলকে বিজ্ঞাপন বর্জিত করিতে উদ্যোগী হইয়াছেন। অর্থাৎ অফিস পাড়ায় আর ‘অ্যাড’ মারা চলিবে না; আড্ডা মারা চলিবে যথারীতি (সরকারি)!
বাপী। ব্যান্ডেল
lসিঙ্গুরের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে দিদি কহিলেন বুঝেছ টাটা, যতই বিছাও মামলার কাঁটা, এ জমি সরকারের। এ বার আর ভুল হবে না, যা হয়েছিল আগের বারে!
অনির্বাণ মিত্র। বাণীপুর
l( প্রথম জন: মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের অপরিচ্ছন্ন নোংরা শৌচাগার নিজের চোখে দেখে নাক কোঁচকালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দ্বিতীয় জন: চৌত্রিশ বছরের দুর্গন্ধ তো!
হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট
l‘নিরুদ্দেশ’ কলামে বিমানবাবু: ‘শূন্য এ বুকে সুশান্ত-তপন-সুকুর ফিরে আয় ফিরে আয়!’
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
lদিদি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গৌতম ‘গম্ভীর’ হয়ে গেল কেন?
শুভজিৎ পান। রসুলপুর
lরাজ্যের শিশুমৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়ে যাওয়াতে মমতা যারপরনাই চিন্তিত। কিন্তু উনি কী করবেন? ওঁর সরকারই তো ‘শিশু সরকার’!
অরুণ গুপ্ত। নিউ রায়পুর রোড
lপুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নাটবল্টু খুলে চলন্ত ফ্যান নীচে পড়ে গিয়ে কি স্বাস্থ্য কর্মীদের জানান দিচ্ছে: স্বাস্থ্যকর্মিগণ, দীর্ঘ ৩৪ বছরে আপনাদের নাটবল্টু যথেষ্ট লুজ হয়ে গেছে। আগে তা টাইট করুন। আপনারা টাইট থাকলে আমাদের খুলে পড়ার সুযোগ হত না!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া |
|
|
সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় |
আলমবাজার অঞ্চলে কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। সময়টা আজ থেকে ২০ বছর আগে ১৯৯১ সালের মে মাস। আমি তখন সদ্য সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছি। পারিবারিক পরিচয়ের সূত্রে তিনি যে বাড়িতে উঠেছিলেন সে বাড়িতে আমার অবারিত দ্বার। এমনই এক দিন বিকেলবেলায় গিয়েছি সেখানে। গিয়ে দেখি, ওঁদের বাড়ির ছাদে বসেছে আড্ডা। বাড়ির কয়েক জনের সঙ্গে দু’এক জন প্রতিবেশীও রয়েছেন সেই আড্ডায়। মধ্যমণি বাংলা গানের কিংবদন্তিপ্রতিম সেই মানুষটি। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম, কমল দাশগুপ্ত, দিলীপকুমার রায় বাংলা গানের সব কিংবদন্তিদের নিয়েই গল্পে গল্পে চর্চা করে চলেছেন। |
|
অল্প বয়েস বলেই বোধ হয় সমীহ না করে হঠাৎ আমি বলে উঠলাম, আমি জানি আপনার ‘চিঠি’ গানটা নিয়ে বেশ একটা মজার গল্প আছে। ‘তুমি শুনেছ আমার গান?’ স্নেহভরা কণ্ঠে তিনি আমায় প্রশ্ন করলেন। অমনি আমার মুখে পট করে এসে গেল, আপনি এখন আর সে ভাবে গান করেন না কেন? কিছুটা সময় নিয়ে আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘সেই পরিবেশই আর নেই। কলকাতায় কত বারই তো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাই, সবই প্রায় ফিরিয়ে দিই।’
কী ভাবে হিন্দিভাষী মানুষদের প্রাণের প্রিয় ‘জগমোহন’ হয়ে উঠেছিলেন, সেই গল্পও শুনেছিলাম সে-দিন। প্রায় দু’টি ঘণ্টা গল্পে গল্পে কেটে গিয়েছিল। আড্ডার শেষে এক জন গেয়ে উঠলেন, মেনেছি গো হার মেনেছি। দেখলাম সত্তরোর্ধ্ব মানুষটির চোখের কোণে জল। না কখনওই জীবনে হার মানেননি বাংলা গানের দুরন্ত বৈশাখী ঝড় জগন্ময় মিত্র। তাঁর সান্নিধ্যে আসার সেই স্মরণীয় মুহূর্তগুলি আজও আমার মনের মণিকোঠায় চির ভাস্বর। সারাটা জীবন সে থাকবেও একই ভাবে। |
|
|
|
না জেনেই নাকি করেছে ডোপ!
পরস্পরকে দাগছে তোপ!
এ বলছে ও মিছে ফাঁসাচ্ছে,
কোচ ‘দেশে যাব’ বলে শাসাচ্ছে,
অবাক চক্ষে দেখে ইন্ডিয়া খেলার জগৎ ‘প্যান্ডেমোনিয়া’।
তাই মাঠ ছাড় ঘুঁটে মালা গলে নিয়া,
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া |
|
|
|
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর
সেরা সম্পদ নাকি মানুষ, গুপ্তধন তাই কঙ্কাল!
প্রবীর পাল, রহড়া |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
মা
হাইপ্রেসার ও সুগারের রোগী ছিলেন। আমার বিয়ের পর ভাই ভালবাসা করে বিয়ে করে। আত্মীয়স্বজনের অমত সত্ত্বেও। এক দিন মেয়ে-বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে আসে পাকা কথা বলার জন্য। মা তখন খুব অসুস্থ। মাকে ধরে ওদের সামনে বসানো হল। কথার ছলে মা বলেছিলেন, ‘আমার শরীরের যা অবস্থা, কখন কী হয়, কে জানে।’ মেয়ের মা বলেছিলেন, ‘এই বিয়ের ক’টা দিন সুস্থ থাকুন, তা হলেই হবে।’ মায়ের মনে কথাটা খুব লেগেছিল। পরের দিন মর্নিং ওয়াকে বেরোব, দেখি গেট ধরে দাঁড়িয়ে আছেন মা। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘উনি ও কথা কেন বললেন।’ আমি বুঝলাম, মা রাতে ঘুমোননি। ভাইকে এই কথা জানালে ধমকের সুরে মাকে বলেছিল, ‘তুমি ওই কথা নিয়ে বসে আছ?’ ক’দিনের মধ্যে মা-র সেরিব্রাল স্টোক হয়। ভাইয়ের বিয়ে আটকায়নি। ভাইয়ের বিয়ের সময় মা একটা ঘরের মধ্যে ছিল। বিয়ের পর মা পড়ে গিয়ে কোমায় চলে যান। অনেক চিকিৎসা করেও মাকে বাঁচানো যায়নি।
নাম ঠিকানা,
প্রকাশে অনিচ্ছুক |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|