|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
গামলাটা হাঁটছে |
বাড়িতে একটা কালো-সাদায় বিড়াল দুটো বাচ্চা দিয়েছিল। এক দিন রাতে হঠাৎ বিড়ালটার মিউ মিউ শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। আমি বাবাকে বললাম, বাবা দেখো না বিড়ালটা মিউ মিউ করছে কেন? বাবা উঠে গিয়ে দেখে বিড়ালের সঙ্গে তার বাচ্চা দুটো নেই। বাবা তখন আন্দাজে বলল, বিড়ালটা বাচ্চাগুলোকে খুঁজতে এসেছে। হঠাৎ আমি আর বাবা আমাদের পিছনের কলতলায় গিয়ে দেখি গামলাটা হাঁটছে। তখন গামলাটা তুলে দেখলাম, বিড়াল বাচ্চা দুটো খেলা করছে।
ঋষিরাজ মুখোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, কাশীপুর ইংলিশ স্কুল |
|
|
পিঁপড়ের কাণ্ডকারখানা |
আমাদের বাড়িতে পিঁপড়ের খুব আনাগোনা। মুখে খাদ্যকণা নিয়ে দলছুট পিঁপড়ের ঠিক স্থানে পৌঁছবার চেষ্টা দেখার মতো। এক বার আমার মা ডাল রোদে দিয়েছিল। কারণ, ডালে পোকা হয়েছিল। পিঁপড়েরা কিন্তু পোকার গন্ধ পেয়ে ডাল থেকে পোকাগুলিকে ছাড়িয়ে বাসার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, সে এক দেখবার দৃশ্য! মাঝে মাঝে পিঁপড়েরা একে অন্যের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে কী সব যেন কথা বলছে, হয়তো খাবারের নিশানা বলছে!
প্রমাশ্রী চক্রবর্তী। পঞ্চম শ্রেণি, হরিয়ানা বিদ্যামন্দির, বিধাননগর |
|
|
শালিকের ভারত বন্ধ |
প্রতিদিন সকালে দু’টি শালিক জানলায় এসে বসে, মুড়ি দিই, মুড়ি খেয়ে কিচিরমিচির করে চলে যায়। যদি কোনও দিন মুড়ি দিতে ভুলে যাই, কিচিরমিচির করে জানিয়ে দেয়, ‘এসেছি’। সে-দিনও সকালে মুড়ি দিয়েছি। শালিকের দেখা নেই। ভাবলাম ওদের কি শরীর খারাপ? নাকি আমি যে কারণে স্কুল গেলাম না, শালিকরাও সেই কারণে বেরোয়নি? আজ যে ভারত বন্ধ!
ঊর্বী রায়। চতুর্থ শ্রেণি, বিদ্যাভারতী স্কুল, বেহালা |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা
উইপোকা,অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|