তবে আজ কি নিরামিষ নাকি?
ঘরোয়া জীবনে আর শুটিংয়ে নানা খানার ক্লোজ-আপ। মিঠু চক্রবর্তী
ছোটবেলায় দিল্লিতে থাকতাম। আমরা তিন ভাইবোন। আমি বরাবরই আমিষের ভক্ত। নিরামিষটা আমার কাছে কোনও খাবারই নয়। স্কুলবাস থেকে নামার পরই একটা করে সিঁড়ি উঠতাম আর মাম্মাকে জিজ্ঞেস করতাম মাছ, মাংস না ডিম কী রান্না করেছে। যদি শুনতাম কোনওটাই নয়, ‘তবে কি আজ নিরামিষ’ বলে সিঁড়িতে বসেই কাঁদতে শুরু করে দিতাম।
কলকাতায় আসার পর আমি একেবারেই মেছো হয়ে গিয়েছি। ভাত না খেয়ে থাকতে পারি। কিন্তু একটুকরো রুই মাছ আমার চাই-ই। বিয়ের আগে রান্না পারতাম না। মাম্মা শুধু বলত, ‘শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে লাঠি-ঝাঁটা খাবি।’ সেই শুনে ড্যাডি বলত, ‘আমার একটা মাত্র মেয়ে। এ ভাবে বলো না।’ আমাকে শেখাবার জন্য ড্যাডি ছোট মাছ কিনে আনত। রান্নাঘরে কলের তলায় বসে সেই মাছ কী ভাবে কাটতে হয় দেখাত। ড্যাডির কাছেই শিখেছিলাম রুটি, লুচি কী ভাবে গোল করে বেলতে হয়। মাম্মা বালির আভেনে কেক, বানাত। খুব ভাল পুডিং বানাত। সে সবও রপ্ত করে নিয়েছিলাম।
আর বাকি সব কিছু শেখা আমার মা অর্থাৎ শাশুড়িমায়ের কাছে। বিয়ের পর দশ-বারো বছর রান্না করতে হয়নি। মা-ই সব করতেন। কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা দিয়ে খুব সুন্দর চারাপোনার পাতলা ঝোল বানাতেন। মায়ের হাতের রান্না মাংস হত অসাধারণ। সুন্দর গন্ধ বেরোত। বোঝা যেত মা রাঁধছেন।
আমাদের বাড়িতে শাশুড়িমা থেকে শুরু করে আমার ছোট ছেলে পর্যন্ত, কারও খাবার কোনও রকম বায়না নেই। একটু কাঁটা ছাড়া মাছ আর ঝাল ছাড়া যে কোনও রান্না হলেই এরা সোনা মুখ করে খেয়ে নেবে। এমন হল কোনও দিন রান্নার অনিমাদি এল না। আমারও শুটিংয়ের তাড়া আছে, কোনও রকমে দুটো সেদ্ধ ভাত করে বেরিয়ে গেলাম। সবাই চেটেপুটে খেয়ে নেবে।
আসলে আমাদের বাড়িতে খাওয়াটাকে কখনওই খুব গুরুত্ব দেওয়া হয় না। খাওয়ার জন্য বাঁচা নয়, বাঁচার জন্য খাওয়া এটাই আমাদের বাড়ির নিয়ম। বিশেষত আমার স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী এটা খুব মেনে চলে। ও একেবারেই খাদ্যরসিক নয়। রোজকার ডাল, তরকারি, মাছের সঙ্গে অতিরিক্ত একটা পদ হলে ওকে জিজ্ঞেস করতে হবে খাবে কী না। কারণ, সেটা খেলে আর কিছু খাবে না।
আগে শুটিংয়ে গেলে প্রোডাকশনের খাবার খেতাম। এখন আর অত তেল ঝোল খেতে পারি না। তাই বাড়ির থেকে খাবার নিয়ে যাই। এমনিতে সন্ধে ছ’টা-সাতটার মধ্যেই একটা স্যান্ডউইচ অথবা মুড়ি দিয়ে আমার ডিনার হয়ে যায়। তার পর আর কিছুই খাই না। কিন্তু শুটিংয়ে যদি বন্ধুবান্ধবরা এক জায়গায় হই তবে জম্পেশ খাওয়া হয়। ‘এখানে আকাশ নীল’-এর শুটিংয়ে আমরা রানিদির (শাশ্বতী গুহঠাকুরতা) কাছে আব্দার করতাম। উনি নানা রকম রেঁধে আনতেন। কখনও আমি হয়তো কিমার তরকারি বানিয়ে নিয়ে যেতাম, অপরাজিতা (ঘোষদাস) চিকেন আনত। তাই দিয়ে ছোটখাটো পিকনিক হয়ে যেত। আর মেক-আপ রুমে যদি অপু (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) থাকে তো কথাই নেই। সে-দিন অবধারিত ভাবেই বাইরে থেকে খাবার আসবে। বাড়িতে লাউয়ের শুক্তো মাঝে মাঝেই বানাই। মায়ের ডায়াবেটিস। লাউটাই একমাত্র নিরীহ জিনিস, যেটা উনি যত খুশি খেতে পারেন। গরমে খেতেও ভাল লাগে। সেই রেসিপিটা দিলাম। আর রইল চটজলদি তৈরি করার জন্য ড্রাই চিকেন আর মাছের চপ।
 

লাউয়ের শুক্তো

লাউ ধুয়ে ঝিরিঝিরি করে কেটে নিতে হবে। বড়ি ভেজে আলাদা করে তুলে রাখতে হবে। কড়াইতে সাদা তেলের মধ্যে মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরোলে লাউটা দিয়ে দেবেন। স্বাদ মতো নুন দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেবেন। লাউ থেকে জল বেরোবে। তাতেই লাউটা সেদ্ধ হয়ে যাবে। সেদ্ধ হয়ে এলে আদা আর পোস্ত বাটা দেবেন। একটু মিষ্টি দেবেন। ভাল করে নাড়াচাড়া করে ওপরে আগে থেকে ভেজে রাখা বড়িটা গুঁড়িয়ে দিয়ে দেবেন। একটু ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নেবেন।

ড্রাই চিকেন

বোনলেস চিকেন ধুয়ে উস্টার সস, সয়া সস, ভিনিগার ও নানা রকম হার্বস যেমন অরিগ্যানো, বেসিল মাখিয়ে ম্যারিনেট করে সকালে ফ্রিজে রেখে দেবেন। রাতে খাবার আগে ম্যারিনেট করা মাংসে নুন আর এক চামচ সাদা তেল মেখে নেবেন। ওপরে খানিকটা চিজ কুরিয়ে দেবেন। এর পর ক্লিং ফিল্ম দিয়ে মাংসটা মুড়ে আভেন প্রুফ বোলে রাখবেন। ক্লিং ফিল্মের ওপরে বেশ কিছু ফুটো করে দেবেন। মাইক্রোওভেনে চল্লিশ মিনিট মতো গ্রিল করলে তৈরি হয়ে যাবে।

মাছের চপ

রুই মাছের পেটির টুকরোকে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে সেদ্ধ করবেন। সেদ্ধ হয়ে এলে মাছের কাঁটা আর ছাল ছাড়িয়ে নেবেন। কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, আদা বাটা, রসুন বাটা, টমেটো কুচি, নুন দিয়ে বেশ করে নেড়ে সেদ্ধ করা মাছটা দিয়ে দেবেন। ভাল করে নাড়বেন। এর পর ওপরে কাজু ও কিশমিশ ছড়িয়ে নামিয়ে নেবেন। রান্না করা মাছটার সঙ্গে খানিকটা সেদ্ধ আলু ও সামান্য বেসন ভাল করে মাখাবেন। এ বার এর থেকে চপের আকারে গড়ে নিয়ে ফেটানো ডিমের গোলায় চুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নেবেন মাছের চপ। বিস্কুটের গুঁড়ো মাখাবার দরকার নেই। কাসুন্দি আর সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করবেন।

চিলখা রোল সঙ্গে রায়তা

আগে থেকে টক দই, কিমা মাংস, ডিম এইগুলো জোগাড় করে রাখুন।
বানিয়ে ফেলুন: রায়তা বা চাটনির জন্য টক দই মাথাপিছু চার চা চামচ একটি বাটিতে নিন। তাতে নুন, কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। পরে ওতে ভাজা জিরে গুঁড়ো মেশান। দুটো মাঝারি সাইজের পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রাখুন। পরে পরিবেশনের সময় ওই দইতে পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে নেবেন। রায়তা বা চাটনি তৈরি হয়ে যাবে।
এ দিকে কিমাটা পরিষ্কার করে তাতে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। রসুন কুচি (একটু বেশি পরিমাণে), আদা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, গরম মশলা, আলু দুটো বা তিনটে কুচি করে কেটে নিন। কড়াইতে সাদা
তেলে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, লঙ্কা দিয়ে নাড়াচাড়া করে কিমা তুলে নিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়ার পর অল্প জল দিয়ে ঢাকনা চাপান। সেদ্ধ হলে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন। পুর তৈরি হয়ে গেল।
এর পর একটা বড় বাটিতে দু’তিনটে ডিম ভেঙে ভালো করে ফেটিয়ে তাতে পরিমাণ মতো বেসন, নুন, কাঁচালঙ্কা কুচি দিন। মিশ্রণটা পাতলা করার প্রয়োজনে পরিমাণ মতো জল দিন। এখন ফ্রাইপ্যানে সাদা তেল অল্প দিন। বড় চামচের তিন চামচ মিশ্রণটা দিন। ওমলেটের মতো সময় লাগবে। এখন মাঝখানে পুর দিয়ে রোল বানিয়ে ফেলুন। মজাদার চিলখা রোল তৈরি হয়ে গেল। সঙ্গে রায়তা বা চাটনি দিয়ে মুখরোচক হাল্কা ডিনার সেরে ফেলুন।

এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে পারেন মজার মজার রেসিপি। শব্দসীমা: ২০০।
পাঠান: খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায়
 
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের

l সরকারি দফতর, হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিরা নাকি এখন জ্যোতিষীর কাছে ঘন ঘন ছুটে যাচ্ছেন এটা জানতে যে, কবে কোন সময় তাঁদের কর্মস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারপ্রাইজ ভিজিট দেবেন!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর

l গ্যাসের দাম ১৬ টাকা কমিয়ে দিদি প্রমাণ করলেন রাজ্যবাসীর প্রতি তাঁর ভালবাসা ষোলো আনাই খাঁটি। আর ৩৪ বছরের বাম জমানার মতোই তিনি যদি এ বার বাড়তি ৩৪ টাকার অবসান করেন, তবে রাজ্যবাসীর ষোলো কলা পূর্ণ হবে!
সুরজিৎ সাধুখা। বারাসাত

l সিলিন্ডারে ১৬ টাকা কমিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, তিনি ‘গ্যাস’ (ভোট-পূর্ববর্তী) দেননি। মানুষকে প্রকৃতই গ্যাস দিয়ে কথা রাখছেন!
হীরালাল শীল।

l গ্যাসের দাম ষোলো টাকা কমিয়ে দিদি রাজ্যবাসীর ষোলো কলা দাবি পূরণে এক ধাপ যে এগিয়ে গেলেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া

l গ্যাসের দাম বাড়িয়ে কেন্দ্রের দু’পয়সা ঘাটতি কমল আর বিক্রয়কর মকুব করে রাজ্যের দু’কথা বলার সুযোগ বাড়ল!
কুটু দাম। রূপাহার

l ভারতীয় ক্রিকেট টিম এমন ভাবে শুরু করেছিল যে, গেইল ছাড়া কী আর খেলিব? এখন কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধোনির এই অতি ধনী দলটি গেইল ছাড়াও ফেইল করিতে যথেষ্ট দক্ষ!
অনুশ্রী দত্ত। সিআইটি রোড

l সরকারি ভাবে দুধের দাম বাড়ায় গরুদের এখন মাটিতে পা পড়ছে না!
অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বর্ধমান

l মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যেতেই রাইটার্সে শোনা গেল: দিদি ছাড়লেন ঘর, কলম তুলে ধর!
পলাশ আওন। রামরাজাতলা

l এক ফাগের দোকানে নোটিস: আগামী ২০ বছর আমাদের দোকানে লাল আবির পাওয়া যাবে না!
দীপঙ্কর মান্না।

l বিধান পরিষদে এ বার নাকি গরিব চাষি, রিকশাওয়ালা, কুলিমজুর ইত্যাদিরা আসবেন। এমনিতে সবই ভাল, কিন্তু এই লেখালিখির ব্যাপারটা বদলে পুরোটা অডিয়ো না করে দিলে কেউ তো কিছুই বুঝতে পারবে না? রাজ কার্য চলবে কী করে?
টুকাই দাস। নবপুর কলোনি

l বর্ষা যে ভাবে ফাস্ট খেলছে, নির্ঘাত দিদিকে দেখে উৎসাহিত! সিপিএম যতই ওঁর গতি নিয়ে ব্যঙ্গ করুক; বর্ষার হুড়োহুড়ি নিয়ে চুপ! ‘নেচার’কে কী-ই বা বলবেন!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

ছানাপোনা ভয়ে কাঁপে, বাবা যাবে অফিসে।
ভোরে উঠে গিন্নিটি মাছ কাটে ক’পিসে!
লোকাল ট্রেনের সিটে রুমালটি পাতা,
আগেভাগে সই ভরা অফিসের খাতা।
এখন টিভিতে দেখি কী কাজের স্টাইল,
ধাপাকে লজ্জা দেওয়া ডাঁইডাঁই ফাইল।
ঘুঁটের মালাটি নাও গলে সরকারি কর্মীর দলে

উঠল বাই তো ব্যাঙ্কক যাই। সস্তা প্লেনের টিকিটের দৌলতে এখন বাঙালির এ রকমই অবস্থা। কিন্তু যাওয়ার আগে নামটা জেনে যাওয়া ভাল নয় কি?
ব্যাঙ্কক আসলে ছোট্ট একটা মাছ ধরার বন্দর ছিল। ছোটখাটো জেলে বসতি ছাড়া বিশেষ কিছুই ছিল না। রাজধানী তো দূরস্থান। তার পর এল ১৭৮২ সাল। ইতিহাস গেল বদলে। রাজা প্রথম রাম এখানেই পত্তন করলেন তাঁর রাজধানী। ব্যাঙ্ককের নাম তিনি পাল্টে দিলেন।
কী নাম রাখলেন?
দাঁড়ান অত তাড়া কীসের? অত সহজে বলা যাবে না। বলা গেলেও মনে রাখার তো সম্ভাবনা নেই-ই। কারণ, নামটা মোটেই যে-সে নাম নয়, ছোটখাটোও নয়, সত্যি কথা বলতে গেলে পৃথিবীর আর কোনও জায়গারই এত লম্বা নাম নেই। এমনকী খোদ তাইল্যান্ডের লোকেরাও নামটাকে মনে রাখার জন্য সুর দিয়ে একটা গান বানিয়েছে।
নামটা তবে বাংলা করে বলেই দিই। মোটামুটি অনুবাদে এই দাঁড়ায়। তবে মনে রাখবেন এক নিশ্বাসে পড়তে হবে, থামলে হবে না।
দেবদূতদেরমহানশহরস্বর্গীয়রত্নরাশিরশ্রেষ্ঠভাণ্ডারঅপরাজেয়মহানদেশপ্রধানওবিশালভূখণ্ডনবরত্নখচিতআন ন্দপূর্ণরাজধানীশ্রেষ্ঠরাজারবাসস্থানওরাজপুরীপুনর্জাতআত্মাদেরস্বর্গীয়আ শ্রয়ওবাসস্থান।
কী ভাবছেন? আমরা ছাপতে গিয়ে কেলেঙ্কারি করে ফেলেছি? আজ্ঞে না, খোদ তাই ভাষায় শহরটার নাম এই ভাবে টানা অক্ষরের পর অক্ষর বসিয়ে লিখে ফেলাই নিয়ম। আর তাতে ১৫২টি অক্ষর ব্যবহৃত হয়।
প্রতিদিন ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে এর সংক্ষিপ্ত রূপ ক্রুং থেপ ব্যবহার করা হয়। যার মানে হল দেবদূতদের শহর। লস এঞ্জেলেস শহরের নামের মানেও তাই।
কাজেই ভ্রমণ বাজেট স্বল্প হলেও গল্প কিন্তু অল্প নয়।
তথ্যসূত্র: দ্য বুক অফ জেনারেল ইগনোরেন্স
সুশান্ত ঘোষ আপনি যেখানেই থাকুন,
দিদি আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন!

গোকুল হাঁসদা, কাঁটাশোল
ক্ষমা চাইছি
তখন আমি এক হোমিয়ো ডাক্তারের কমপাউন্ডারি করি। ডাক্তারখানায় যেতে দেরি হলেই বকুনি খেতাম। বাড়িতে কাজের জন্য সে-দিন একটু বেরোতে দেরি হয়েছিল। ফলে বেশ জোরেই সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলাম। উল্টো দিক থেকে মদ্যপ অবস্থায় এক আদিবাসী ভাই টলোমলো ভাবে সাইকেল চালিয়ে আসছিল। আমি যথাসম্ভব বাঁ দিক ঘেঁষে ওকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় লোকটি চলে আসে আমার সাইকেলের সামনে। ধাক্কা খেয়ে টাল সামলাতে না পেরে আমি রাস্তায় আর ও পড়ল রাস্তার পাশের নালাতে। ওখানে তখন কেউ ছিল না। উঁকি মেরে দেখি ওর মুখটা কাদায় লেপ্টে গিয়েছে, হাত-পা ছড়ে রক্ত ঝরছে। পাশেই আদিবাসী পাড়া। পাছে কেউ দেখে ফেলে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে গণপিটুনি দেয় সেই ভয়ে মার পিটটান। নেশার ঘোরে ও আমাকে ঠিক ঠাহর করতে না পারলেও, আজও ওকে দেখলে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১


এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে
পারেন মজার মজার রেসিপি।
শব্দসীমা: ২০০।

পাঠান: খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১

Golpo Rabibasariyo Anandamela



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.