খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে বালিকার উপরে অমানবিক অত্যাচার চালানোয় বাবা ও সৎমাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিনহাটা মহকুমা আদালত। শুক্রবার দিনহাটার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক সঞ্জীবকুমার মান্নার এজলাসে অভিযুক্ত বাবা ও সৎমাকে তোলা হয়। বিচারক চাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই নাবালিকা অস্মিতার জবানবন্দিও এদিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রণবীরমোহন চট্টোপাধ্যায় গ্রহণ করেন। আদালতে সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা সুকমল বসাক, সৎমা যূথিকা দেবী অস্মিতার উপর অমানবিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গরম খুন্তি দিয়ে ওই বালিকাকে ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনা জানাজনি হওয়ায় প্রতিবেশীরা বসাক দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দিনহাটার গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা সুকমলবাবু ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যান। ঘটনার কথা জেনে তুফানগঞ্জ থেকে ছুটে যান অস্মিতার মামা স্বাস্থ্যকর্মী কাজল বসাক। তিনি দিনহাটা থানায় গিয়ে সুকমলবাবু ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা ও ৩২৬ ধারায় গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ জানিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। অস্মিতার মামা কাজলবাবুর তরফে আইনজীবী সুজয় সাহা বলেন, “বিচারক বাবা ও সৎমা দু’জনের জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিন জেল হেফাজত দিয়েছেন। ওই বালিকাকে মামার কাছে রাখার অনুমতি দিয়েছে আদালত।” দিনহাটার ওই ব্যবসায়ী সুকমলবাবুর প্রথম স্ত্রী চুমকি দেবী ২০০৮ সালে মারা যান। ছয় মাসের মধ্যে যূথিকা কে বিয়ে করেন তিনি।
|
ছাত্র সংঘর্ষে স্থগিত থাকা কোচবিহার কলেজের ভর্তির কাউন্সিলিং ফের ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ভর্তি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভুগোলের পর সংস্কৃতের আংশিক কাউন্সিলিং হওয়ার পরেই গোলমালের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “আগামী ৫ জুলাই স্থগিত রাখা ভর্তির কাউন্সিলিং ফের শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে নির্বিঘ্নে তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্তসূচি ঘোষণা করা হবে।” কলেজের গোলমাল ঘিরে কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে অধ্যক্ষ কলেজের সমস্ত ঘটনা জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন। তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের স্থানীয় এক নেতা ২৯ জুন রাতে তাঁর বাড়িতে ১৭ জন ছাত্রকে ভর্তির করার জন্য চিঠি দেন বলে জানিয়েছেন।
|
প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনপত্র জমা নেওয়ার তারিখ বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে শুক্রবার অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ইসলামপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। পরে অধ্যক্ষ উতথ্য বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিলে ঘেরাও প্রত্যাহার করে নেন ছাত্রছাত্রীরা। কলেজের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রজ্জাক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, অনেক ছাত্রছাত্রী প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনপত্র তুলতে কিংবা জমা দিতে পারেননি। সেই জন্যই অধ্যক্ষকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী কলেজে পৌঁছয়। অধ্যক্ষ জানান, মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
|
অবসরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রভিডেন্ট ফাণ্ডে জমানো টাকার চেক পেলেন কোচবিহারের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষক বিকাশ রায়ের হাতে জমানো ৪ লক্ষাধিক টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। কোচবিহারের বাণেশ্বরের বোকালির মঠ প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষক বৃহস্পতিবারই অবসর নেন। শুক্রবারই প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা পাবেন সেটা ভাবতে পারেননি তিনি। কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা জেলা স্কুল পরিদর্শক সুশান্ত পাণ্ডা বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পরে কাজে গতি আনার চেষ্টা করেছি। তা ছাড়া বিকাশবাবুর সমস্ত নথি নিয়ম মেনে যথা সময়ে জমা পড়েছিল। তাই তাঁর হাতে প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা তুলে দিতে অসুবিধে হয়নি।”
|
তৃণমূল জেলা সভাপতির খালি বাড়িতে তালা ভেঙে দুষ্কৃতী হানার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের রতুয়ায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রতুয়ার সামসি দেশবন্ধুপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। তাঁকে ভয় দেখাতে এবং আজ, শনিবার আয়োজিত একটি বৈঠক বানচাল করতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল শ্রমিক নেতা মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁচলের মহকুমা পুলিস আধিকারিক সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “ওই নেতা আমাদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন। চুরি, না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে হামলা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
বয়স্কদের জন্য পৃথক কাউন্টার খুলল স্টেট ব্যাঙ্কের ওল্ড হাসিমারা শাখা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ভাস্কর ডারনাল জানান, এই কাউন্টার থেকে বয়স্করা পেনশন তুলবেন। |