জেলার সদর হাসপাতালের কী দশা, তা নিজে চোট পেয়ে চাক্ষুষ করলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি। হাসপাতালের সুপারের ঘরে কথা বলার সময় তাঁর ঘাড়ে এসে পড়ল সিলিং ফ্যান!
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের ঘটনা। সমুদ্র সেনগুপ্ত নামে ওই স্বাস্থ্যকর্তাকে ওই হাসপাতালেই এক্স-রে করিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর কাঁধে ও পিঠে চোট লেগেছে। |
তিনি পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে রয়েছেন। তাঁর নিজের ঘরে এমন ঘটনা ঘটায় দৃশ্যতই চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন সদর হাসপাতালের সুপার স্বপন সরকার। তিনি বলেন, “সিলিং পাখাটি যে নাটবল্টু দিয়ে লাগানো ছিল, তা হঠাৎ খুলে যাওয়াতেই এই ঘটনা।” কেন এমন হল, তার সদুত্তর দিতে না পারলেও তিনি মেনেছেন, আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে এই পাখাটি এখানে লাগানো হয়েছে। এ সব দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। আমরা ওদের কাছে জানতে চাইব, কেন এমন হল।” পাশাপাশি হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ড ও অন্য ঘরের পাখা-আলো ঠিকমতো লাগানো আছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
সদর হাসপাতালের কী ভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে এ দিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহ-অধিকর্তা সমুদ্রবাবু এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘আয়ুষ’-এর সহকারী সচিব শুভ মুখোপাধ্যায় এখানে এসেছিলেন। সারাদিন হাসপাতালের ওয়ার্ড, রান্নাঘর-সহ সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেন। রোগীদের খাবারের মান নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট হননি। সন্ধ্যায় সুপারের ঘরের আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই ওই দুর্ঘটনা। সমুদ্রবাবুর কথায়, “আমি ঝুঁকে নোট নিচ্ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছি। না হলে পাখাটা সোজা মাথায় এসে পড়ত!” তিনি জানান, সুপারের ঘরটিও বেহাল। বোঝাই যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। এই ঘটনার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মেরামতির দিকে নজর দেওয়া উচিত। |